দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে ও হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সনাতনী ধর্মালম্বী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকালে সনাতনী ছাত্র/ছাত্রী, যুব গণজাগরণ মঞ্চ ও অভিভাবক বৃন্দের আয়োজনে সহস্রাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট শ্যামনগর উপজেলা শাখা এতে অংশগ্রহণ করে। দুপুরের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নকিপুর সরকারি এইচ.সি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে। পরে তারা সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ডে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজবাড়ী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী পবিত্র মন্ডল বলেন, ৫ আগস্ট রাত থেকে সারা দেশে বিভিন্ন পাড়ায়-মহল্লায় হিন্দুদের বাসাবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো পক্ষই কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করেন তারা।
বক্তরা আরো বলেন, আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা এ দেশের নাগরিক। এ দেশ থেকে আমরা অন্য দেশে যাব না। সকল ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে এই বাংলাদেশ সবার। স্বাধীন বাংলাদেশে বৈষম্যের কোনো স্থান নেই। সংখ্যালঘুদের উপর কেন হামলা করা হচ্ছে। আমাদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথাপোযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন করতে হবে, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করাসহ আট দফা দাবি তুলে ধরেন।