সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা বরফের বাক্স থেকে একটি এক নলা বন্দুক উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা। শুক্রবার(৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শ্যামনগরের চকবারা এলাকার পার্শ্ববর্তী খোলপেটুয়া নদীতে থাকা একটি নৌকা থেকে ওই বন্দুক উদ্ধার করা হয়।
এসময় স্থানীয়দের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে নৌকার চালক আব্দুল হাকিম গাজী (৫৫) ও তার ছেলে হাফিজুল ইসলাম(৩০)কে আটক করে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
আটক আব্দুল হাকিম গাজী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চকবারা গ্রামের মৃত আরমান গাজীর ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাছ শিকারের জন্য শুক্রবার সুন্দরবনে যাওয়ার প্রাক্কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড সদস্যরা উক্ত নৌকায় তল্লাশি চালায়। এসময় বাক্সের মধ্যে বরফের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো একটি এক নলা বন্দুক উদ্ধার করেন তারা। একপর্যায়ে নৌকা চালকের পরিচয় সনাক্তের পর আব্দুল হাকিম ও তার ছেলেকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল হাকিম তার ভাই আতার আলী, ছেলে হাফিজুল ইসলামসহ ৩০জনেরও বেশি জেলে নীলডুমুর গ্রামের হোসেন কোম্পানীর হয়ে সুন্দরবনে মাছ শিকারের কাজ করে। কয়েকদিন আগে শিকারকৃত মাছ বিক্রির জন্য হাকিম ও তার ছেলে লোকালয়ে ফিরলেও আতার আলীসহ অন্যরা অদ্যবধি বনে অবস্থান করছে।
এসব গ্রামবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বনদস্যুদের সাথে হোসেন কোম্পানী প্রধান হোসেন সরদারের যোগাযোগ রয়েছে। তিনি নীলডুমুর গ্রামের শহর আলীর ছেলে। হোসেন কোম্পানীর মতো কয়েকটি কোম্পানীর ছত্রছায়ায় সুন্দরবনে বনদস্যুরা আবারও সক্রিয় হয়েছে বলেও দাবি তাদের।
তবে আটক আব্দুল হাকিম ও তার ছেলে হাফিজুলকে নিজের জেলে বলে অস্বীকার করেন হোসেন কোম্পানীর প্রধান হোসেন সরদার। তিনি জানান, সোনারমোড়-কাশিপুর এলাকার আবু বক্কারের জেলে আব্দুল হাকিম ও তার ছেলে। আবু বক্কারের সাথে দস্যুদের যোগাযোগের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন কয়রা বিসিজি স্টেশনের লে. মাহাবুব জানান, উপযুক্ত তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে প্রযুক্তির সহায়তায় আটককৃতদের ব্যবহৃত নৌকা থেকে একটি দেশীয় বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের থেকে অনেক গুরুত্বপুর্ন তথ্য পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।
খুলনা গেজেট/এইচ