ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় দুর্গত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজিবি। বিজিবি’র নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন (১৭ বিজিবি) এর সদস্যরা সাতক্ষীরার স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে রোববার(২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী সময়ে বিভিন্নভাবে জনসচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যরা নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন ও অধীনস্থ বিওপিসমূহের সামনে বিদ্যমান বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবেশ রোধকল্পে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ সুরক্ষার ব্যবস্থা করে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও বিপদ সংকেত অনুযায়ী দুর্গত এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার অনুরোধসহ নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরার নৌকা/ট্রলার গমনাগমন নিরুৎসাহিত করার জন্য মাইকিং করেছে। পাশাপাশি নীলডুমুর বিজিবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশেপাশের দুর্গত এলাকার মানুষদের নিরাপদে আশ্রয় প্রদানসহ সেখানে আশ্রয়রত ১৫০ জনেরও বেশি জনসাধারণের মাঝে রান্না করা খাবার, সুপেয় পানি ও শুকনো খাবার সরবরাহসহ প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করছে।
এছাড়া বিজিবির পক্ষ থেকে নীলডুমুর ও বুড়িগোয়ালিনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে এবং নীলডুমুর বাজারে আশ্রয়রত ৩৫০ জনেরও অধিক অসহায় মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। একইসাথে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় আগত স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝেও নিয়মিতভাবে খাবার পরিবেশন করা হয়।
বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় আপদকালীন মুহুর্তে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য সাতক্ষীরার শ্যামনগরের উপকূলীয় এলাকায় ৩ প্লাটুন বিজিবি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়।
সাতক্ষীরার নীলডুমুরস্থ বিজিবি ১৭ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মাদ সানবীর হাসান মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে