সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কার্লভাটের ওপর একটি ব্যাগে রেখে দেওয়া শিশু ছেলেটিকে আদালতের মাধ্যমে দত্তক পেলেন ফারজানা বেগম। তিনি ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ী এক নম্বর গেট, বিবির বাগিচার বাসিন্দা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী। সাতক্ষীরার শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকালে এক আদেশে শিশু ছেলেটির সার্বিক মঙ্গলার্থে এবং দত্তক গ্রহীতার আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে ওই আদেশ দেন।
দত্তক গ্রহীতা ফারজানা বেগমের স্বামী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে তারা সন্তানের মুখ দেখতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে শিশুটির কথা জানতে পেরে তারা শ্যামনগর শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে আবেদন করেন শিশুটিকে পাওয়ার জন্য। অবশেষে আদালতের আদেশে তারা সন্তানের পিতা-মাতা হতে পেরে অত্যন্ত খুশি। সন্তানটিকে তারা পবিত্র কুরআনের একজন হাফেজ হিসাবে গড়ে তুলতে চান। ফারজানা-জাহাঙ্গীর দম্পতি এ ব্যাপারে সকলের দোয়া কামনা করেন।
শ্যামনগর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শহিদুর রহমান জানান, শ্যামনগরে কার্লভাটের উপর থেকে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে দত্তক পাওয়ার জন্য প্রথম দফায় বেশ কয়েকজন আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দত্তকের শর্ত যথাযথভাবে পুরণ না হওয়ায় আবেদনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরে ফারজানা-জাহাঙ্গীর দম্পতির আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে সাতক্ষীরার শিশু আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বরাবর প্রেরণ করা হয়। তিনি সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে শিশুটিকে ফারজানা-জাহাঙ্গীর দম্পতি কাছে দত্তক দেন।
খুলনা গেজেট/এনএম