ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সাইদা খালেককে হত্যার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। গাইবান্ধা থেকে শুক্রবার(১৪ জানুয়ারি) সকালের দিকে তাকে ধরা হয়।
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে শ্বাসরোধে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই যুবক। আটক যুবকের নাম আনোয়ারুল ইসলাম। আনোয়ারুল সাবেক ওই অধ্যাপকের নতুন বাড়ি নির্মাণে কাজ করতেন। তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
এই ঘটনায় আটক আনোয়ারুল পুলিশকে জানায় টাকার জন্য নিজ হাতে সে খুন করে অধ্যাপক সাইদা খালেককে।
তিনি বলেছেন, দৈনিক মজুরি দেয়ার সময় সাইদার কাছে অনেক টাকা ছিল। তা দেখে লোভ সামলাতে পারেননি তিনি। একপর্যায়ে অধ্যাপকের ওড়না দিয়েই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। মরদেহ ঝোঁপে ফেলে পালিয়ে যান তিনি।
নিহত সাইদা খালেকের বয়স ৭১। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যান ২০১৬ সাল। গত ১১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এসব নিশ্চিত করছেন কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা।
তিনি বলেন, ‘ওই অধ্যাপক যে বাসায় ভাড়া থাকতেন তার পাশের জমিতে তিনি বাড়ি নির্মাণের কাজ করাচ্ছিলেন। শুক্রবার সকালে সেই প্রকল্পের আনুমানিক ২০০ গজ দূর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি মাহবুবে আরও বলেন, ‘ওই নারীর ছেলে আনোয়ার গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ফোনে আমাদের জানায়, তার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, বাসার দরজা খোলা। পরে রাত ৯টার দিকে তার মেয়ে সাদিয়া এসেও মাকে বাড়িতে পাননি। পরে রাতে সাদিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।’
পানিশাইল এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক প্রকল্পের সিকিউরিটি ইনচার্জ জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘বাড়ির কাজ দেখাশোনার জন্য ৩-৪ মাস আগে প্রকল্পের পাশে স্থানীয় মোশাররফ মৃধা নামে এক ব্যক্তির বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া নেন। একটি কুকুর পুষতেন তিনি। উনার ছেলে-মেয়েরা কোথায় থাকেন তা জানি না। মাঝেমধ্যে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ঢাকায় যেতেন।’
খুলনা গেজেট/ এস আই