খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ
নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণ

শোকের মাতম কাঞ্চনের পরিবারে : পাশে নেই কেউ

নাফি ইসলাম

নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হয়েছেন খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০)। নগরীর খানজাহান আলী থানার মীরেরডাঙ্গার কাদের হাওলাদার এবং রহিমা বেগমের সন্তান তিনি। গ্রামের বাড়ি বরিশালে হলেও দীর্ঘ ২৫ বছর তার পরিবার খুলনায় থাকতেন।

কাঞ্চন হাওলাদারের পরিবারে রয়েছে স্ত্রীসহ তিন কন্যা। এরমধ্যে একটি মেয়ে প্রতিবন্ধী। সংসারে আয় করার মত কেউ নেই। যার কারণে কাঞ্চন হাওলাদার নারায়ণগঞ্জে চাকুরির সুবাধে থাকতেন। তিনি সেখানে প্রায় ৭ বছর ধরে ছিলেন। সর্বশেষ তিনি সেখানকার একটি তুলার মিলে চাকরি করতেন বলে পরিবার জানিয়েছেন।

 

গেল শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন। এসময় নিহত হন কাঞ্চন হাওলাদার। এ ঘটনার পর থেকে শোকের মাতম চলছে পরিবারটিতে। এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ তাদের বিষয়ে খোঁজ নেননি বলে জানান পরিবারটি।

 

সোমবার কাঞ্চনের পরিবারের সাথে কথা হয় খুলনা গেজেটের। এসময় তার স্ত্রী শেফালী বেগম জানান, মুঠোফোনের মাধ্যমে স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ শুক্রবার রাতেই পেয়েছিলেন তিনি। এরপর লাশ আনতে যান ঢাকায়। শনিবার রাতেই তাদেরকে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা সহযোগিতা করা হয়।

 

গত রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে কাঞ্চন হাওলাদারের জানাজা শেষে মহেশ্বরপাশা কালিবাড়ি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। কাঞ্চনের মেয়ে কুলসুম ও ফাতেমা প্রতিবেদককে বলেন, পরিবারের একমাত্র আয়ের মাধ্যম ছিলেন বাবা। তিনি এভাবে মারা যাওয়ায় আমরা এখন পথে বসতে চলেছি। আয় করার মত কেউ নেই। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালে প্রতিবন্ধী বোন ও মাকে নিয়ে বেঁচে থাকতে পারব।

খুলনা গেজেট/নাফি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!