ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসহকারীদের টানা কর্মবিরতিতে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের ইপিআই কার্যক্রম। ফলে হাসপাতালে অচল হয়ে পড়েছে শিশুদের ইপিআই টিকা কার্যক্রম। বছর জুড়েই নবজাতকদের ১০টি রোগের ৬টি টিকা দেয়া হয়ে থাকে, যেটাকে ইপিআই কার্যক্রম বলে। অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে টিকা দিতে না পেরে হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছে। আন্দোলনকারীদের সাথে অভিভাবকদের বাকবিতন্ডা হতেও দেখা গেছে।
নিয়োগবিধি সংশোধন ও বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ২৬ তারিখ থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য টানা কর্মবিরতি চলছে স্বাস্থ্য সহকারীদের। স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
সারাদেশের ন্যায় জেলার শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আঙ্গিনায় কর্মবিরতি চলছে। দেখা গেছে হাসপাতালে ইপিআই টিকা না নিতে পেরে অভিভাবকরা ফিরে যাচ্ছে শিশুদের নিয়ে। শুরু হয়েছে চরম ভোগান্তি।
হাসপাতালে আসা অভিভাবকদের মধ্যে মনোহরপুর গ্রামের মিদুল, সাইমুমসহ কয়েকজন জানান, শিশুদের জিম্মি করে এমন আন্দোলন যারা করে তারা কিভাবে নিজেদের মানুষের সেবক দাবি করে ?
এদিকে বাংলাদেশ হেলথ্ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে এ কর্মবিরতি বলে জানান এসোসিয়েশনের উপজেলা শাখার সভাপতি আক্তারুজ্জামান।
সংগঠনটির সহসভাপতি রেহেনা পারভীন জানান, টিকাসহ নানা কার্যক্রমে শিশুরা সাময়িক সমস্যায় পড়লেও আন্দোলন শেষে তারা চিকিৎসা সেবায় ফিরবে। এছাড়া ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা: রাশেদ আল মামুন জানান, আন্দোলনে ব্যাহত হচ্ছে ইপিআই কার্যক্রম ।
খুলনা গেজেট/এনএম