ম্যাচের ভবিতব্য ততক্ষণে সবাই বুঝে গেছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও চলল দাপট। ছাড় দেয় না লিঁও, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও হাল ছাড়ে না। খেলা যখন পেনাল্টির দিকে ঝুঁকে পড়েছে, তখন নাটকীয় শেষ করেন হ্যারি মাগুয়ের। দারুণ কারিশমায় বল জড়ান জালে। সেই গোলেই কেটেছে ইউনাইটেডের যত গোল।
প্রিমিয়ার লিগে ধুঁকতে থাকা ম্যানইউর আশার যষ্ঠি হয়ে আছে ইউরোপা লিগ। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই মোটেও সুখের হয়নি রুবেন আমেরিমের শিষ্যদের। আগের লেগে লিঁও’র মাঠ থেকে ফিরতে হয়েছিল ড্র করে। সেই ম্যাচে আন্দ্রে ওনানার কাণ্ড নিয়ে কত জলঘোলা। বৃহস্পতিবার রাতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে জিততেই হতো।
কিন্তু মাঠে হতশ্রী ছাপ। বল দখল, গোলে শট কিংবা আক্রমণ—প্রতিটা বিভাগে স্বাগতিকদের ওপর দাপট দেখিয়েছে সফরকারী লিঁও। তবে জয়টা আসে ইউনাইটেডের ভাগ্যে। সেটাও বেশ নাটুকেভাবে। এগিয়ে যাওয়া পিছিয়ে পড়ার খেলায় শেষ অবধি ৫-৪ গোলে জিতেছে ইউনাইটেড। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ ব্যবধানে সেমি নিশ্চিত করেছেন আমেরিমের শিষ্যরা। ফাইনালে ওঠার পথে তাদের বাধা অ্যাথলেটিক ক্লাব।
কোয়ার্টারে বাঁচা মরার লড়াইয়ে ১০ মিনিটে মানুয়েল উগার্তের গোলে এগিয়ে যায় ম্যানইউ। বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়োগো দালোত। লিওঁ হাল ছাড়েনি। নাটকীয় মোড় দেখে ম্যাচ। ৭১ মিনিটে তোলিসোর হেড জালে জড়ানোর পর। ৭৭ মিনিটে আর্জেন্টাইন তাগলিয়াফিকো গোল করে সমতায় ফেরান লিওঁকে। তবে লিওঁ বড় ধাক্কা খায় নির্ধারিত সময় শেষের আগের মিনিটে।
রেড ডেভিলদের লেনি ইয়োরোকে বাজে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখতে (লাল কার্ড) হয় ফরাসি মিডফিল্ডার তোলিসোকে। এতে একজন কমে যায় লিঁওর। তবুও তারা নাছোড়বান্দা। বাড়তি সময়ে ১০৪ ও ১০৯তম মিনিটে গোল করে লিওঁকে সেমির স্বপ্নই দেখাচ্ছিলেন রায়ান চের্কি ও আলেক্সান্ডার লাকাজেড। তখনও যে ম্যাচের অনেকটুকু নাটক বাকি।
হতাশায় ডুবে থাকা ইউনাইটেড সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটে শেষ মুহূর্তের তিন গোলের সুবাদে। গোল করেন—ব্রুনো ফার্নান্দেস, কোবি মাইনো এবং হ্যারি ম্যাগুইয়ার। ১১৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আনে ব্রুনো, কোবি করেন ১২০ মিনিটে গোল। আর খেলা যখন একেবারে শেষের পথে তখন বল জালে জড়িয়ে উল্লাসে মাতেন মাগুয়ের। শেষ ৬ মিনিটের তাণ্ডবে বিদায় নিতে হয় ফরাসি ক্লাব লিঁওকে।
খুলনা গেজেট/এনএম