শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ২২ রান। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম বল তুলে দিলেন মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে। এর আগের ম্যাচেও রাজশাহীর হয়ে শেষ ওভারে ম্যাচ জিতিয়েছেন আরেক মেহেদি হাসান। তবে তামিমের পরিকল্পনা সফল হলো না নাজমুল হোসেন শান্তর মতো।
২৯ বলে ২৪ রান করা আরিফুল মিরাজের ৫ বলে হাঁকালেন ৪ ছক্কা। মিরপুর শের-এ-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচের মোড় পাল্টাতে লাগলো ৪-৫মিনিট এবং এক ওভার। শেষ ওভারে খুলনার জয়ের নায়ক বনে গেলেন দলীয় ৩৬ রানে ক্রিজে নামা আরিফুল, যিনি ৬ ওভার থেকে ক্রিজে দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
শেষ ওভারের নাটকীয়তায় তামিমের মুখের হাসি চলে গেল খুলনার শিবিরে। ৪০৯ দিন পর খেলতে নেমে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়লেন সাকিব। তারুণ্য নির্ভর দল নিয়ে পরাজয় দিয়ে আসর শুরু করতে হল অধিনায়ক তামিমকে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী দিনের দুই ম্যাচই ছড়াল রোমাঞ্চ।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে জেমকন খুলনাকে মাঝারি লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বরিশাল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান স্কোরবোর্ডে তুলে তামিমবাহিনী। সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে পারভেজ হোসেনের ব্যাট থেকে। খুলনার হয়ে ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন শহিদুল ইসলাম।
১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে প্রথম ওভারেই চাপে ফেলেন তাসকিন। গতিময় বোলিংয়ে তৃতীয় বলে এনামুল হক এবং পঞ্চম বলে ইমরুল কায়েসকে ডাগ আউটে ফেরত পাঠান এই পেসার। এরপর মাহমুদউল্লাহ এবং সাকিব মিলে হাল ধরলেও এই জুটি বেশীক্ষণ থিতু হতে পারেনি।
পঞ্চম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে পারভেজ হোসেনের হাতে লং অনে ক্যাচ দিয়ে বসেন মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারে সাকিবকে বিদায় করেন সুমন খান। আফিফ হোসেনের হাতে স্কোয়ার লেগ অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর জহুরুল ইসলাম এবং আরিফুল হক মিলে যোগ করেন ৪২ রান। জহুরুল কামরুল ইসলামের বলে ৩১ রান করে ফিরে গেলে দলকে টেনে নিতে থাকেন তরুণ শামিম পাটুয়ারি। আরিফুল এবং শামিমের ব্যাটে দলীয় ১০০ পার করে খুলনা।
শামিম ২৬ রান করে দলীয় ১২২ রানে ফিরলেও শেষ ওভারে মিরাজকে প্রথম দুই বলে ছক্কা এবং শেষ দুই বলে ছক্কা মেরে খুলনাকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান আরিফুল। ৩৪ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটসম্যান। শহিদুল ইসলাম করেন ৮ রান।
খুলনা গেজেট/এএমআর