সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় আরও দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (৩১ অক্টোবর) সাতক্ষীরার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক সাতনদীর সম্পাদক সাংবাদিক হাবিবুর রহমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলারোয়া থানার তৎকালিন পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম এ সাক্ষ্য দেন।
এ নিয়ে এ মামলায় এপর্যন্ত মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বর রোববার মামলার যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতের কাঠগড়ায় এ সময় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামী উপস্থিতি ছিলেন।
জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় কারাগারে থাকা ৩৯ জন আসামীকে সোমবার সকাল ৯টায় জেলা কারাগার থেকে স্পেশাল টাইব্যুনাল-৩ এর কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। এ মামলার অপর নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন। সাড়ে ৯টায় এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক সাতনদীর সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলারোয়া থানার তৎকালিন পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত মোট ১৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামি ২০ নভেম্বর এ মামলার যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, জিপি অ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুল বারি, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু প্রমুখ।
অপরদিকে, আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড.শাহানারা আক্তার বকুল, অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত ঃ ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়ায় বিএনপি’র অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়।
হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় দায়ের করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এর মধ্যে নয়জন আসামী পলাতক রয়েছেন ও দুই জন মারা গেছেন। গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।