খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬
সদর থানা আ‘লীগের আলোচনা সভায় বক্তারা

শেখ হাসিনার উন্নয়ন ভাবনায় শুধু বাংলাদেশ নয়, সুফল পাচ্ছে সারাবিশ্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক 

“শেখ হাসিনার উন্নয়ন ভাবনায় শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্ব সুফল পাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্বের প্রতিটি দেশের কাছে মডেল।” বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা‘র অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। উদ্বোধক ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী। সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।

আলোচনা সভায় বক্তরা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একে অন্যের পরিপূরক। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশকে কল্পনা করা যায় না। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকেই বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর চিনতায় মননে ছিলো বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগন।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে গড়তে চেয়েছিলেন, আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরে দেশ সেই অবস্থানে পৌঁছেছে। ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, মানবিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী সমাজ গঠনই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। যেজন্য দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তিনি। দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধ ও স্বাধীনতার পর সাড়ে তিন বছর বঙ্গবন্ধুর দেশ পুনঃনির্মাণের জন যে পরিকল্পনা ও অক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন, সবকিছুই পাশে থেকে দেখেছেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যার পর নির্বাসিত জীবন যাপন করতে হয় তাকে।

এরপর ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে ফিরেও পদে পদে মোকাবিলা করতে হয় নানামুখী প্রতিবন্ধকতা। দলকে সংগঠিত করতে তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চল চষে বেড়িয়েছেন। মৃতে্যু মুখোমুখি হতে হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি তিনি। যার ফলশ্রুতিতেই আমরা পেয়েছি আজকের বাংলাদেশকে।

বক্তরা আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরই দেশ প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। এরপর ২০০৯ সাল থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সময় পান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি আজকের বাংলাদেশকে ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। সেই সাথে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনা ও অক্লান্ত শ্রমের কারণেই আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

এসময়ে আরো বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু ও জামাল উদ্দিন বাচ্চু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, খুলনা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম এ নাসিম, সদর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরিনা রহমান বিউটি, মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল।

সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো: সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলামের সঞ্চলনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, হালিমা রহমান, তসলিম আহমেদ আশা, মো. তরিকুল ইসলাম খান, কাজী জাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর রেকসোনা কালাম লিলি, রনজিত কুমার ঘোষ, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, মো. শফিকুর রহমান পলাশ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, মীর বরকত আলী, মো. ইমরান হোসেন, বাবুল সরদার বাদল, এ্যাড. মো. ফারুক হোসেন, ফেরদৌস হোসেন লাবু, মো. আজম খান, নজরুল ইসলাম তালুকদার, এ্যাড. মোশাররফ হোসেন, মো. আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটো, মো. সেলিম মুন্সি, মো. সিহাব উদ্দিন, এ্যাড. মুস্তাফিজুর রহমান, সমীর কৃষ্ণ হীরা, এ্যাড. সাজ্জাদ আলী, এ্যাড. এনামুল হক, এ্যাড. ইকবাল হোসেন, নুর জাহান রুমি, মো. সাহেব আলী, হাবিবুর রহমান দুলাল, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, শওকত হোসেন, রোজী ইসলাম নদী, নাসরিন আক্তার তন্দ্রা, সবনম মুস্তারী বকুল, রেখা খানম, আফরোজা জেসমিন বিথী, রুমা খাতুন, রেখা খানম, রেজওয়ানা প্রধান, নাছরিন আক্তার তন্দ্রা, নজীবুল ইসলাম নজিব, মল্লিক নওশের আলী, মো. শহীদুল হাসান, ইখতিয়ার উদ্দিন মোল্লা, মাহমুদুর রহমান রাজেসসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভা শেষে খুলনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার জন্য ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই বিতরণ করা হয়। সবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আগস্টে নিহত ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আ খ ম জাকারিয়া।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!