আজারবাইজানের সেনাবাহিনী নাগার্নো-কারাবাখের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শুশা ২৮ বছর আর্মেনিয় দখল থেকে মুক্ত করেছে। কারাবাখের রাজধানী স্টেপনোকার্টের পর এটিই দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ আজ রোববার জানান, ২৮ বছর পর আবারো শুশা শহরে আজানের ধ্বনি শোনা যাবে। আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর জন্য শুশা শহর পূনর্দখল খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া যুদ্ধে এটা অন্যতম বড় জয় হিসেবে দেখছে আজারবাইজান।
শুশা শহরটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত। এটি আর্মেনিয়দের দখলে থাকা নাগার্নো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপনোকার্ট (খানাকেন্দি) থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এছাড়া শুশা শহরের ভেতর দিয়েই মূল আর্মেনিয়ার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে একমাত্র সড়ক অবস্থিত। গত সপ্তাহে নাগার্নো-কারাবাখের এক দখলদার আর্মেনিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ঘোষণা দিয়েছিলেন, “আজারবাইজানের সেনাবাহিনী শুশা শহর দখলের কাছাকাছি।”
শুশা শহরের প্রসিদ্ধ ক্যাথিড্রালে আরায়িক হারুতইয়ুনইয়ান বলেন, “শহর থেকে ‘শত্রুরা’ মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে। তাদের উদ্দেশ্য শুশি (শুশা) দখল করা। কেননা শুশি শহর যাদের দখলে তারাই করাবাখের নেতৃত্বে থাকবে।” এসময় তিনি কারাবাখের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর শুশা রক্ষার্থে আর্মেনিয়দের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছিলেন।
খুলনা গেজেট/কেএম