ইফতারীর প্রধান উপকরণ খেজুর। চাহিদার কথা বিবেচনা করে এনবিআর এ পণ্যের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়েছে। এতে আমদানি ব্যয়ও কমেছে। প্রকারভেদে কেজি প্রতি পঞ্চাশ থেকে একশ’ টাকা করে দাম কমেছে। মহানগরীর বাজারগুলোতে এ পণ্য ক্রেতার নাগালের মধ্যে এসেছে।
তিন দিন পর রমজান শুরু। বড় বাজারস্থ অভিজাত বিপনী বিতানগুলোতে এবার দশ হাজার মে: টন খেজুর আমদানি হয়েছে। এসেছে ইরাক, দুবাই, সৌদি, মিশর ও তিউনিসিয়া থেকে।
সূত্র জানায়, রমজানে চাহিদার কথা বিবেচনা করে এনবিআর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত অগ্রিম কর পুরোপুরি প্রত্যহার করা হয়েছে।
ইরাকের জাহিদি নামের খেজুরের ২০২৪ সালে প্রতিকেজি মূল্য ছিল ২৩০ টাকা, এবারের মূল্য ১৮০ টাকা। মেডজুল নামক খেজুর প্রতি কেজি দেড় হাজার টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে মরিয়ম খেজুরের দামও এবার এক থেকে দেড়শ টাকা কমে এগারো শ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ক্লে রোডস্থ ক্ষুদে ব্যবসায়ী মো: রমজান ইসলাম জানান, এবার ইফতার পণ্যের দাম কমেছে। মিশর, সৌদি ও দুবাইয়ের খেজুর প্রকার ভেদে ১৮০ থেকে ৭ শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মহানগরীর বড় বাজার মোড়ের সততা ফল ভান্ডারের মালিক জানান, গত রমজানে ইরাকী খেজুর ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এবারের দাম ১৩৭ টাকা। ইরাকের খেজুরের মূল্য স্থিতিশীল। রবিবার ১৯ বস্তা এবং সোমবার ২৫ বস্তা বিক্রি হয়। প্রতি বস্তার ওজন ৩০ কেজি।
মহানগরীর বড় বাজার, রুপসা পাইকারী বাজার, ময়লাপোতা মোড়, শেখপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, চিত্রালী, বৈকালী, দৌলতপুর, চুকনগরও চালনা বাজারে ইরানী খেজুরের চাহিদা বেশি।
খুলনা গেজেট/এনএম