নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথমবারের মতো নাসিক নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোট গ্রহণের জন্য ইভিএম পদ্ধতি গ্রহণ করা হলেও এতে উল্টো বিপত্তি ঘটেছে।
নাসিক নির্বাচনে অন্যতম শক্তিশালী প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি সকাল ৮টার নারায়ণগঞ্জের ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। সেই কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণের বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভোট শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যে একজন ভোটার অভিযোগ করে বলেছেন, ইভিএমে ভোট গ্রহণ পদ্ধতি ধীরগতিতে চলছে। এ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হতে কেন্দ্রে গিয়ে অনেক সময় লাগছে।
এছাড়াও কেন্দ্রটির বেশ কয়েকজন ভোটার ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করছেন।
সকাল ৮টা থেকে ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ইভিএমের গোলযোগ কেন্দ্রটিতে দেখা যায়।
মঙ্গল বেপারী কেন্দ্রটির ১০৮ নম্বর কক্ষে ভোট দিতে আসেন সকাল ৮টায়। তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট বুথের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু ভোট দিতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট ভোটার কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএম মেশিন হ্যাং করেছে। এখন সেটি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ভোট দিতে পারব না। আমাদের জন্য আগের নিয়মে ভালো ছিল। সিল দিয়ে ভোট দিয়ে চলে যেতাম।
কেন্দ্রটির পাশেই বাড়ি আনিসুর রহমানের। তিনিও সকালেই এসেছেন এখানে ভোট দিতে। ইভিএমে ভোট দেওয়ার বাজে অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে ইভিএমে বোতামে টিপেছি। কিন্তু কোনোভাবেই ভোটগ্রহণ হচ্ছিল না। তবে মেশিনটি পরিবর্তন করার পর ভোট দিতে পেরেছি। আগের সিল মারা থেকে এভাবে ভোটগ্রহণ অনেক কঠিন মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে অনেক ভোটারকে দেখা যায়, ইভিএমের সমস্যায় ভোটগ্রহণের গতি কম হওয়ায়, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ না করে ক্ষুব্ধ হয়ে কেন্দ্রটি ছেড়ে চলে গেছেন।
তবে ভোটারদের এমন সব অভিযোগ অস্বীকার করছেন কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার আরজু মিয়া। তিনি বলেন, এখানে এই নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার সকালে ভোট এসেছিলেন। তাই এখানে সবকিছুতে অন্যরকম তৎপরতা ছিল। তাই শুরুর দিকে ভোটগ্রহণে একটু গতি ধীর হতে পারে। আরেকটি ভোট কক্ষের ইভিএম মেশিন সমস্যা ছিল সেটি সমাধান করা হয়েছে। এখন নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।