চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষভাগে বাংলাদেশকে হতাশ করেছেন ব্যাটাররা। আজ সোমবার চতুর্থ দিনের শুরুটাও ভালো হলো না। দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
দিনের তৃতীয় বলেই মুশফিককে বোল্ড করেছেন হাসান আলী। ৩৩ বলে ১৬ রান করে বিদায় নিয়েছেন তিনি। ৪৩ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। ৮৩ রানে এগিয়ে থেকে আজ চতুর্থ দিন শুরু করেছে বাংলাদেশ।
আলোকস্বল্পতায় কাল দিনের কয়েক ওভার খেলা হয়নি। তবে, শেষ দিকে যতটুকু ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ, তাতে মিলেছে শুধুই হতাশা। ব্যাটিংয়ে নেমে বরাবরের মতো ব্যর্থ ওপেনিং জুটি। দলীয় ১৪ রানেই ফেরেন সাদমান ইসলাম। এরপর একে একে ফেরেন সাইফ হাসান, মুমিনুল হক এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্রুত চার উইকেট হারানোর পর মুশফিক-ইয়াসিরে দিনের বাকি অংশ পার করে বাংলাদেশ।
এর আগে তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশ। মুমিনুলরা প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৩০ রান। ফলে প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিড পায় স্বাগতিকেরা।
অবশ্য ম্যাচের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটররা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে সফরকারীরা। দিন শেষে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান আবিদ আলী এবং আবদুল্লাহ শফিক। তবে, কাল দিনের শুরুতেই এ শক্ত জুটি ভাঙেন তাইজুল। ফিরিয়ে দেন শফিককে। আগের দিন ৫২ করা শফিক আজ স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করতে পারেননি।
তিনে ব্যাট করতে নামা আজহারকেও টিকতে দেননি তাইজুল। গোল্ডেন ডাকে তাঁকে সাজঘরে পাঠান এ স্পিনার।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের প্রতিরোধ ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম সেশনেই মিরাজের করা বল অফ স্টাম্পে পড়ে সোজা যাওয়ায় লাইনে যেতে পারেননি বাবর। সরে গিয়ে খেলার চেষ্টা করেন। তবে, সফল হননি। বল চলে যায় স্টাম্পে। ভাঙে ২৩ রানের জুটি। ৪৬ বলে ১০ রান করেন বাবর। এরপর রিজওয়ানকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পান ইবাদত।
সতীর্থরা আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত থাকলেও থিতু ছিলেন আবিদ। তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই ব্যাটারকে শেষ পর্যন্ত থামান তাইজুলই। দ্বিতীয় সেশনে আবিদকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। ২৮২ বলে ১৩৩ রান করে থামেন এ ওপেনার। শেষ দিকে ফাহিম আশরাফ ৩৮ রানের একটি ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে বেশ উজ্জ্বল ছিলেন তাইজুল ইসলাম। ১১৬ রান দিয়ে সাত উইকেট নেন তিনি। ৪৭ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন ইবাদত। আর মেহেদী হাসান মিরাজ পান একটি উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৪ রান করেন লিটন। মুশফিকুর রহিম করেন ৯১ রান।
খুলনা গেজেট/ এস আই