হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী আজ। এদিন দেশের হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করেন। তবে এবার জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান যথারীতি ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে পালিত হবে। জন্মাষ্টমী সংশ্লিষ্ট সকল অনুষ্ঠানমালা মন্দিরাঙ্গনে সীমাবদ্ধ থাকবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের জন্মাষ্টমীতে সকল প্রকার সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করা থেকে বিরত থাকারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে অশুভ শক্তিকে দমন করে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠায় ধরাধামে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাঁর আবির্ভাব বিশ্বের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করে। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষকে রক্ষায় তিনি পরিত্রাতার ভূমিকা পালন করেন, অন্ধকার সরিয়ে পৃথিবীকে আলোয় উদ্ভাসিত করেন। পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাদের আরো বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের মাঝে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ ও জেলা, মহানগর শাখাসমূহের মধ্যে সভায় বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান যথারীতি ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে পালন এবং জন্মাষ্টমী সংশ্লিষ্ট সকল অনুষ্ঠানমালা মন্দিরাঙ্গনে সীমাবদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুরো অনুষ্ঠান সরকার নিদের্শিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মাষ্টমী উপলক্ষে পৃথক বাণীতে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এআইএন