দুই মাস ধরে শীতের সঙ্গে মেঘের লড়াই চলছে। শীত জেঁকে বসতে না বসতেই বঙ্গোপসাগর থেকে মেঘের দল হাজির। এর সঙ্গে যোগ দিচ্ছে আবর সাগর থেকে আসা মেঘমালাও। দুয়ে মিলে কাবু শীতের পুবালি বাতাস। ফলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়, দুর্বল হয় শৈত্যপ্রবাহ। সব মিলিয়ে অন্য বছরগুলোর তুলনায় এ বছর জানুয়ারি মাস কিছুটা উষ্ণ। তবে কুয়াশার পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব মতে, প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে যে তাপমাত্রা থাকে, তার তুলনায় এ বছর জানুয়ারির গড় তাপমাত্রা এলাকাভেদে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। মানে হলো এবার শীত কম। যদিও দেশের ঋতুচক্রের হিসেবে জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি শীত থাকার কথা। সাধারণত এ মাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ থাকে। এর মধ্যে একটি শৈত্যপ্রবাহ হয় তীব্র মাত্রায়। কিন্তু জানুয়ারি মাসের ২৬ দিন চলে গেছে, এখন পর্যন্ত কোনো তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়নি। দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হলেও তা তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৭ জানুয়ারি) খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত সোমবার খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ থেকে তাপমাত্রা কমে আগামী তিন থেকে চার দিন শীত থাকতে পারে।
এদিকে তিন দিন ধরে দেশের আবহাওয়া চিত্র হচ্ছে, রাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীত বেশি থাকে। দিন গড়াতে তা কমতে থাকে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ বুধবার থেকে আবারও তামপাত্রা কমতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর খুলনা কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ সন্ধ্যায় খুলনা গেজেটকে বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর খুলনাঞ্চলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়নি। তবে আজ বুধবার থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, যা ১০ ডিগ্রিতে নেমে আসতে পারে। তিনি আরও বলেন, জানুয়ারি মাসের একদম শেষ দিকে আরও একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। তবে তা দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হবে। খুলনাতে শৈত্যপ্রবাহ আসতে নাও পারে। তবে হালকা থেকে মাঝারি ধরণের কুয়াশা থাকবে।
খুলনা গেজেট / এআর