সারাদেশে শীতের দাপট আরও বেড়েছে। উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় কনকনে ঠান্ডার এমন আবহ থাকবে মাসজুড়ে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পাশাপাশি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কম হওয়া, দিনভর সেভাবে রোদ না থাকায় স্বাভাবিকভাবে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন কনকনে শীত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তীব্র কুয়াশাও থাকবে। কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে শীতল আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। এ ছাড়া শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি দেশব্যাপী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, আগামী দুই দিন পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে জানান, দেশব্যাপী চলমান কুয়াশার বিস্তার থাকবে সপ্তাহজুড়ে। শনিবার পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব দিকের বিভাগগুলোর ওপরে কুয়াশা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের বিভাগগুলোর ওপরে কুয়াশা কমতে থাকবে। সপ্তাহের শেষের দিকে আবারও রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কোনো কোনো জেলার ওপরে সকাল ৬টার সময় তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি দেশব্যাপী উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরই সারাদেশে ভারী কুয়াশার বিস্তার লাভ করবে। এ জন্য ১৫ জানুয়ারির পর আলুচাষিদের কৃত্রিম সেচ না দেওয়া ভালো। এতে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।