প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে অন্যান্য মৌসুমে না খেলেও শীতকালে অবশ্যই খেতে হবে এই তিন বাদাম। কারণ আমন্ড, আখরোট ও কাজুবাদামে আছে ব্যাপক পুষ্টিগুণ। এ ছাড়াও শীতকালে নিয়মিত খেজুর খেলেও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় বজায় থাকবে।
এই তিন বাদাম এবং খেজুর কেন খাওয়া জরুরি, দেখে নিন এক নজরে—
আমন্ড : প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিনটি আমন্ড বাদাম খান। আগের দিন রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিন। তাহলে আর পেটের সমস্যা বা আমন্ড হজম করতে অসুবিধা হবে না। শীতকালে নিয়মিত আমন্ড খেতে পারলে সারাদিন ভরপুর এনার্জি পাওয়া যাবে। ফলে কাজ করলে ক্লান্তি আসবে না সহজে। আমন্ডে রয়েছে ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন।
আখরোট : প্রতিদিন আখরোট বাদাম খেতে পারেন, কিন্তু দুটো বা তিনটের বেশি নয়। মস্তিষ্ক সজাগ এবং প্রখর রাখতে আখরোট খাওয়া উচিত। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে আখরোটের মধ্যে। আমাদের স্মৃতিশক্তি ভালো করতেও কাজে লাগে আখরোটের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ। উপকারী ফ্যাট থাকার কারণে শীতের দিনে আখরোট খেলে শরীর গরম থাকবে। এছাড়াও আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আখরোট। এটি একটি হেলদ স্ন্যাক্স।
কাজুবাদাম : কাজুবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। শীতকালে এমনিতেই ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করার জন্য কাজুবাদাম খেতে পারেন শীতকালে। তবে পরিমাণে তিন থেকে চারটি, তার বেশি নয়। কাজু বাদাম যে খেতেই শুধু সুস্বাদু তা কিন্তু নয়। শীতে আপনার শরীর গরম রাখতেও কাজে লাগে এই বাদাম।
খেজুর : প্রাকৃতিক মিষ্টি হিসেবে জনপ্রিয় খেজুর। নিয়মিত দু-তিনটে খেজুর খেলে ভরপুর এনার্জি পাবেন। পানিতে ভিজিয়ে খেজুর খেতে পারলে উপকার সবচেয়ে বেশি। শীতকালে খেজুর খেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় বজায় থাকবে। এছাড়াও যেহেতু খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে তাই এই ড্রাই ফ্রুট খেলে আপনার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকবে। হজমশক্তি ভালো করতেও দারুণ ভাবে কাজ করে ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুর।
খুলনা গেজেট/এনএম