শীতে যেকোন ধরনের ব্যথাই বাড়ে। বিশেষ করে যারা আর্থ্রাইটিস, অস্থিসন্ধি বা হাড়ের ব্যথায় ভুগছেন, তারা এ সময় বেশি সমস্যায় পড়েন। শীতের সময় এই যন্ত্রণা বেশি বেড়ে যায়।
যারা আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মত ওষুধ সেবনের পাশপাশি ব্যায়াম করতে পারেন। যদিও অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে কোনো খাবারও যথেষ্ট নয়, তারপরও কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং অস্থিসন্ধির ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। যেমন-
তেলযুক্ত মাছ : সামুদ্রিক মাছ যেমন- স্যামন এবং ম্যাকেরেলের মতো ফ্যাটি মাছ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। এসব মাছে থাকা প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিপূরকগুলি অস্থিসন্ধির ব্যথার তীব্রতা কমাতে ভূমিকা রাখে।
রসুন : রসুন এবং পেঁয়াজে প্রদাহ-বিরোধী যৌগ থাকে। এসব উপাদান প্রদাহের সাথে লড়াই করতে, ব্যথা উপশম করতে এবং অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
আদা : নিয়মিত আদা খেলে অস্থিসন্ধির প্রদাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদা কাঁচা কিংবা শুকনো দুইভাবেই খেতে পারেন। এছাড়া হালকা গরম পানিতে আদা আর মধু মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
বাদাম ও বীজ : বাদাম এবং বীজ স্বাস্থ্যকর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। নিয়মিত আখরোট, সব ধরনের বাদাম,চিয়া বীজ খেলে অস্থিসন্ধির ব্যথা কমে।
আপেল ও বেরি জাতীয় ফল : আপেল, ক্র্যানবেরি এবং এপ্রিকট জাতীয় ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এসব ফল শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলগুলি দূর করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ চেরিও অস্থিসন্ধি এবং পেশির ফোলাভাব কমাতে কার্যকর।
জলপাই তেল: জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল অসম্পৃক্ত, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ওমেগা থ্রি’র উৎস। অলিভ অয়েলে থাকা ওলিওক্যানথাল উপাদান প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতে পারে। সেক্ষেত্রে দৈনন্দিন রান্না বা সালাদ তৈরিতে অলিভ অয়েল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
খুলনা গেজেট/ বিএমএস