নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, শীতলক্ষ্যার কাঁচপুর সেতুর কাছাকাছি জায়গা থেকে মঙ্গলবার(২২ মার্চ) ভোরের দিকে এক শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে শীতলক্ষ্যা সেতুর দক্ষিণপাড়ের শাহ সিমেন্ট এলাকায় আবদুল্লাহ আল জাবের নামের এক যুবকের মরদেহ ভেসে আসে। ফায়ার সার্ভিস মরদেহটি উদ্ধারের পর পরিবার তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
জাবেরের বাবা ওয়াদুদ সিদ্দিক সাংবাদিকদের জানান, জাবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। দেড় মাস আগে বিয়ে করেছেন। ছুটির দিন তিন বন্ধুর সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিলেন। লঞ্চডুবির পর তার তিন বন্ধু সাঁতরে পারে উঠলেও জাবেরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দুজনের মরদেহ তীরে আনা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলামিন নগর এলাকায় রোববার বেলা ২টার দিকে সিটি গ্রুপের কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এম এল আশরাফ উদ্দিন নামের একটি লঞ্চ ডুবে যায়। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
রাতভর চেষ্টায় সোমবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে লঞ্চটি শীতলক্ষ্যার পাড়ে আনা হয়। তবে লঞ্চের ভেতর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। লঞ্চডুবির ঘটনায় জাহাজের চালক, মাস্টারসহ আটজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে পেয়েছে নৌপুলিশ।
খুলনা গেজেট/ এস আই