বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে ১২-১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের পরীক্ষামূলক করোনা টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্বাচনী এলাকা মানিকগঞ্জ থেকে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ‘টেস্ট রান’ হিসেবে কাল দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেওয়া হবে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ভার্চুয়াল লাইভে এসে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছিলেন, শিশুদের টিকা দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর আপনাদের জানাচ্ছে যে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমরা এই টিকা কার্যক্রম শুরু করব। আর এটি হবে আমাদের একটি ‘টেস্ট রান’।
তিনি বলেন, আপনারা এর আগেও দেখেছেন আমরা যেকোনো টিকা দেওয়ার আগে একটি টেস্ট রান করি। কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করি। তারপর ফাইনালি টিকা কার্যক্রম শুরু করি।
খুরশীদ আলম বলেন, এবারের টেস্ট রানের জায়গাটা বেছে নেওয়া হয়েছে মানিকগঞ্জকে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের এলাকা। সেখান থেকে আমরা এটা শুরু করছি। টেকনিক্যাল কিছু কারণেই মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আমরা এই কার্যক্রম শুরু করব।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে দুটি সরকারি স্কুলে ১২ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের বেছে নিয়েছি। তাদেরকে ফাইজারের টিকা দেবো। এরপর আমরা ১০ থেকে ১৪ দিন শিশুদের পর্যবেক্ষণ করব, তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না দেখব। পরবর্তীতে ঢাকায় আমরা বড় আকারে এই কার্যক্রম শুরু করতে পারব।
এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কামনা করে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, শিশুদের টিকার বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এই কঠিন কাজটাই আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এই কাজে সবাই আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত হবেন বলে আশা করছি।
এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক অনুষ্ঠান শেষে অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম জানান, এখন পর্যন্ত সারা দেশের ২১টি কেন্দ্রে শিশু-কিশোরদের করোনার টিকা দেওয়ার ব্যপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমেই তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। আর তাদের জন্য আলাদা টিকা কেন্দ্র তৈরি করা হবে।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১২ বছরের বেশি শিক্ষার্থীদের অনুমোদন না দিলেও বিভিন্ন দেশে তাদের ফাইজার টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমাদেরও এমনটা পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যে ২১টি কেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে। এটি চাইলে সব জায়গায় দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, ফাইজারের টিকা সংরক্ষণের জন্য দেশের সব জায়গায় ওরকম সুযোগ-সুবিধা নেই।
খুলনা গেজেট/ টি আই/এমএম