বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের বলাইবুনিয়ায় শিশু লিমন মোল্লা হত্যাকারীদের বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কালিকাবাড়ি বাজারে মানববন্ধন হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হত্যার শিকার লিমনের বাবা এনামুল মোল্লা, রিমা বেগম, বলইবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন, সহকারি শিক্ষক মোঃ আব্দুর রব খান, মো. রাসেল, স্থানীয় ইউপি সদস্য রাকিবুল ইসলাম বকুল, সাইদুর রহমান, নাসিমা খানম, বলইবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন শেখ, মোড়েলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজিল ইসলাম সবুজ, বলইবুনিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সুমনসহ স্থানীয়রা।
বক্তারা বলেন, লিমনকে শুধু ইমরান কাজী একা হত্যা করেনি। এই হত্যার সাথে ইমরানের বাবা জহুরুল কাজী, মা তাসলিমা বেগম, ও ভাই কাওসার কাজীও জড়িত রয়েছে। হত্যার পরে ইমরান, ইমরানের বাবা ও ভাইকে আটকও করেছিল। কিন্তু শুধু ইমরানকে দোষী দেখিয়ে অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জামিনে মুক্তি পেয়ে আসার পরে ইমরান ও তার পরিবারের সদস্যরা লিমনের পরিবারকে নানা হুমকী দিয়ে দিচ্ছে। এই অবস্থায় হত্যার স্বীকার পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অতিদ্রুত স্কুলছাত্র লিমন হত্যার সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার পূর্বক বিচারের দাবি জানান তারা। মানববন্ধন শেষে কালিকাবাড়ি বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন স্থানীয়রা।
লিমনের বাবা এনামুল মোল্লা বলেন, ইমরান কাজী জামিনে বের হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ম আমাদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। স্বাক্ষীদেরও এই মামলায় সাক্ষী দিতে নিষেধ করছেন। আমাকে বাজারে দোকানে আসতেও বাঁধা দেয় তারা। এই অবস্থায় আমরা মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যেকোন মূল্যে ইমরান কাজী ও তার বাবা-ভাইকে গ্রেপ্তার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান সন্তানহারা এই বাবা।
‘আমি অন্যকিছু চাই না, আমি শুধু আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই’ এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন লিমনের মা রিমা বেগম।
২০২১ সালের ২৯ জুলাই কালিকাবাড়ি এলাকার দোনা গ্রামের একটি বাগান থেকে শিশু লিমন মোল্লা (১০) হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর দুই দিন পরে ৩১ আগস্ট রাতে মোড়েলগঞ্জের দোনা এলাকা থেকে লিমনের প্রতিবেশী ইমরান কাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমরানের বাবা ও ভাইকে আটক করা হলেও পরে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই