মণিরামপুরে অন্য নারীর সাথে স্বামীর পরকীয়ার জের ধরে রান্না ঘরে শিশু সন্তানকে হত্যার পর পিয়া মন্ডল (২৩) নামের এক অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধূ একই স্থানে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (৭ আগষ্ট) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূ পিয়া মন্ডল ও তিন বছরের শিশু কন্যা কথার লাশ উদ্ধার করে। নিহত পিয়া মন্ডল উপজেলার মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কণার মন্ডলের স্ত্রী। পুলিশ নিহত পিয়া মন্ডলের স্বামী প্রভাষক কণার মন্ডলকে আটক করেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় জানান, উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের ননী গোপাল মন্ডলের পুত্র প্রভাষক কণার মন্ডল স্ত্রী ও তার শিশু কন্যা নিয়ে কুলটিয়া এলাকার ফাল্গুন মন্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী পিয়া মন্ডল ও শিশু কন্যা কথাকে ওই ভাড়া বাড়িতে রেখে প্রভাষক কণার মন্ডল পাশ্ববর্তী এলাকায় মাছ ধরতে যান। এমন সময়ে শিশু কন্যাকে হত্যার পর পিয়া মন্ডল গলায় রশি দিয়ে একই স্থানে আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে এক নারীর সাথে প্রভাষক কণার মন্ডলের পরকীয়া ছিল। স্বামীকে সঠিক পথে ফিরে আসার জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়েছে তার স্ত্রী। উক্ত ঘটনার জের ধরে প্রায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল। এলাকার একাধিক নারীর সাথে কথা হলে নিকটবর্তী অনেকেই জানান, গৃহবধূ পিয়া মন্ডল অন্ত:সত্ত্বা ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে, প্রভাষক কণার মন্ডলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, কি কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল কুলটিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বামী প্রভাষক কণার মন্ডলকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখরচন্দ্র রায়।
খুলনা গেজেট/কেএম