দেশ ও মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ সঙ্গীতশিল্পী মিনা আবিদ শাহারিয়ার বাপী সুদীর্ঘকালব্যাপী এদেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। সুস্থ বাঙ্গালি সংস্কৃতি চর্চায়র ধারায় আবিদ নিজেকে সংযুক্ত করেছিলেন অত্যন্ত সচেতনভাবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমাদের এ সমাজের যুবকদের বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে যুক্ত হয়ে গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করা অত্যাবশ্যক। আবিদ তাঁর জীবৎকালে সচেতনভাবে এ কাজটি করে গেছেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ জামান আবিদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ২৯ জুলাই সকালে নগরীর দৌলতপুর মহেশ্বরপাশায় ইসলামবাগ সমাধিস্থল প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পী আবিদ স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি কবি দুখু বাঙাল এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শংকর কুমার মল্লিক।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সভাপতি কমরেড শেখ মফিদুল ইসলাম, বিএমএ’র সদস্য ডাঃ আর কে নাথ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কমরেড খলিলুর রহমান, দৌলতপুর একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির শাহীন জামাল পণ, অলক স্মৃতি পরিষদের অজয় কুমার দে, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী-খুলনার এড. কামরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, সাইফুল ইসলাম সাদ্দাম, সমাজকর্মী মিনা জিল্লুর রহমান, এমসিএসকে স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, খুলনা বিভাগীয় ফুটবল উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিনা মামুনুর রহমান, কমরেড আব্দুস সাত্তার, কমরেড আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় শিল্পী আবিদের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ জামান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, শিল্পী আবিদ স্মৃতি পরিষদ, অলক স্মৃতি পরিষদ, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিল্পী আবিদের স্মৃতি প্রতি দাঁড়িয়ে ১ মিনিট শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
খুলনা গেজেট / এনআইআর