ফেভারিট আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতকে বিদায় করে ফাইনালের মঞ্চে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। টানা চার ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় লঙ্কানরা। আর ফাইনালের মঞ্চ থেকে শূন্য হাতে ফিরতে নারাজ পাকিস্তান। শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে টস জিতে বোলিংয়ে পাকিস্তান।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
ফাইনালের আগে অবশ্য সুপার ফোরে দেখা হয়েছিলো দু’দলের। ফাইনালের ‘ড্রেস রিহার্সেল’ ম্যাচে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে লঙ্কানরা। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাবল প্রতিশোধের পালা পাকিস্তানের। কারণ ২০১৪ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটের ফাইনালে লঙ্কানদের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান।
আজ শ্রীলঙ্কা নামছে নিজেদের ষষ্ঠ এশিয়া কাপ শিরোপার জন্য আর পাকিস্তান তৃতীয়। দুবাইয়ের এই মাঠে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছে ৮৩টি। যার মাঝে ৪৫টিতেই পরে ব্যাট করা দল জয়ের স্বাদ পায়। বিপরীতে ৩৮ জয় আসে আগে ব্যাট করা দলের। আর দুবাইয়ে এবারের এশিয়া কাপের ম্যাচ হয়েছে আটটি, যার মাঝে ছয়টি জয়ই পরে ব্যাট করে।
চলতি আসরে গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোর মিলিয়ে এবারের এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত মাঠে গড়িয়েছে মোট ১২টি ম্যাচ। এর মধ্যে টস জিতে ব্যাট করার সাহস করেছে শুধু মাত্র একটি দল। বাকি ১১ ম্যাচেই টস জয়ী দলের পছন্দ আগে বল। প্রথমে ব্যাট করা সেই সাহসী দলের নাম বাংলাদেশ, যদিও শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের শিকার হয় সাকিব বাহিনী।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ২২বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের ১৩ জয়ের বিপরীতে ৯ জয় শ্রীলঙ্কার। চলতি আসরেই ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেল ম্যাচে সবশেষ ম্যাচ খেলেছিলো পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। যেখানে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে লঙ্কানরা।
টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি লড়াইয়ে পাকিস্তানের জয়ের পাল্লা ভারী থাকলেও, এশিয়া কাপের মঞ্চে বেশি জয় রয়েছে শ্রীলঙ্কার। এশিয়া কাপে ১৬ বারের লড়াইয়ে ১১ বার জিতেছে লঙ্কানরা। পাঁচবার জয় আছে পাকিস্তানের।
পাকিস্তান একাদশ : বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফাখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, শাদাব খান, আসিফ আলি, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ এবং মোহাম্মদ হাসনাইন।
শ্রীলঙ্কা একাদশ : পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), ধনঞ্জয় ডি সিলভা, দানুসকা গুনাথিলাকা, ভানুকা রাপাকসে, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, মহেশ থিকসানা, প্রমোদ মাধুশান ও দিলশান মধুশঙ্কা।