ফকিরহাটে চিকিৎসা দেওয়ার নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগে কথিত কবিরাজের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে অভিযুক্ত কায়েম আলী ওরফে কাইয়ুম নামের কথিত কবিরাজের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানা পুলিশের উপপিদর্শক (এসআই) বাদশা বুলবুল জানান, গত সোমবার (২৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে কথিত ওই কবিরাজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানান, ওই শিক্ষার্থীর হাতের আঁচিল তুলতে তার এক বান্ধবীকে সাথে নিয়ে কবিরাজ কায়েম আলীর বাড়িতে যায়। সেখানে ওই কথিত কবিরাজ আঁচিল উঠানোর চিকিৎসার সময় রোগীর সাথে অন্য কেউ থাকা যাবে না বলে তার বান্ধবীকে বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। পরে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয় এবং মেয়েটিকে একটা বাতাসা খেতে দেয়। এরপর মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি কাউকে না বলতে বিভিন্ন হুমকি দেয় কথিত ওই কবিরাজ। ঘটনাটি জানাজানির পরে কথিত কবিরাজ গা ঢাকা দিয়েছে।
ভিকটিমের পরিবার জানান, তারা ফকিরহাট উপজেলার একটি গ্রামের এক বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। তারা এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়া এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল থাকায় ভয়ে বিষয়টি প্রথমে কাউকে জানায়নি।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে সংশিষ্ট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২ জুন) ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত কথিত কবিরাজ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
খুলনা গেজেট/এমএম