খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ পৌষ, ১৪৩১ | ১১ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করবে ইসি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা কঠিন : সিইসি
  আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের অবসর ঘোষণা
  বছরের প্রথম দশ দিনে হাসপাতালে ৫২৮ ডেঙ্গু রোগী, মৃত্যু ৩

শিক্ষার্থী হত্যায় মামলা না নেওয়ায় মধ্যরাতে লালবাগ থানা ঘেরাও

গেজেট ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের সময় গত ১৮ জুলাই খালিদ সাইফুল্লাহ নামে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা শনিবার রাতে লালবাগ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ গড়িমসি শুরু করে। মামলা রুজু করতে রাজি না হওয়ায় দেড় শতাধিক এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে লালবাগ থানার ওসি খন্দকার হেলাল উদ্দিন  বলেন, নিহতের পরিবার রাতে থানায় মামলা করতে আসে। যেহেতু হত্যা মামলা, তাই তাদের বলেছি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মামলা রুজু করতে হবে। এজন্য রোববার সকালে আসতে বলা হয় তাদের। কিন্তু তারা এতে রাজি নন। লোকজন এসে মামলা নিতে চাপ দিতে থাকে।

নিহত খালিদ সাইফুল্লাহ একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাসা লালবাগ থানার রসুলবাগে। গত ১৮ জুলাই আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করে পরিবার।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সাইফুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে থানায় গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়। এ কারণে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে এলাকাবাসীসহ নিহতের বাবা মামলা করতে থানায় যান। পুলিশ মামলা না নেওয়ায় এলাকাবাসী থানায় ভিডিও করে রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ওই ভিডিওতে এক তরুণকে বলতে শোনা যায়, সাইফুল্লাহর বাবা শুক্রবার মামলা করতে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে। আজকেও (শনিবার) মামলা করতে এসেছিলেন, তাও নেওয়া হয়নি। ওসি আওয়ামীপন্থি হওয়ায় মামলা নিচ্ছেন না। কিন্তু মামলা রাতেই নিতে হবে। অন্যথায় আরও শিক্ষার্থী থানায় আসবেন। মামলা না নেওয়া পর্যন্ত তারা থানা থেকে যাবেন না।

অপর এক তরুণ বলেন, সাইফুল্লাহ শহীদ হয়েছেন। তাঁর বাবা মামলা করতে এসে কেন বারবার ঘুরবেন। বিচার চাইতে এসে কেন হয়রানির শিকার হতে হবে। আজিমপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ সেদিন নির্বিচারে রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও গুলি ছুড়েছে।

থানার এক কর্মকর্তা জানান, লোকজন জড়ো হওয়ার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!