অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু, এই পরিচয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা তাঁর। তবে গায়ক হিসেবেও কিন্তু তিনি কম যান না। ‘নিথুয়া পাথারে’, ‘ইন্দুবালা’, ‘সখিনা’, ‘আমার যমুনার জল’-এর মতো বেশ কিছু তুমুল জনপ্রিয় গান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। অথচ নিজেকে গায়ক মানতে নারাজ তিনি। গান করেন অনুরোধে।
সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে চলতি মাসে তিনটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু। এসব গান প্রসঙ্গে শিল্পীর বক্তব্য, ‘শখ করে করি, অনেকে গাওয়ায় আর কি। আর যে গানগুলো করেছি, ভালোই ছিল। আর অনেকেই আমাকে দিয়ে গান করায়, তারা চায় আমি তাদের ওখানে একটা গান করি। কিন্তু আমি যে নিজে খুব পছন্দ করে গান করি, সেটা বলা যাবে না। আমি নিজেকে কখনো গায়ক মনে করি না, অভিনেতাই মনে করি। আমি বেশির ভাগ সময় অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকি। এখন করোনার কারণে অভিনয় কম করছি, সেজন্য গানগুলো করেছি।’
এত জনপ্রিয় গান থাকতেও নিজেকে কেন গায়ক মনে করেন না? গণমাধ্যমকে বাবু বলেন, ‘আমি তো অভিনেতা, গায়ক না। আমি নিজেকে গায়ক মনে করি না এই কারণে, গায়ক হয়ে ওঠার জন্য যে শ্রম ও চর্চার মধ্য দিয়ে গিয়ে একজন শিল্পী হয়ে ওঠেন, আমি সেই প্রক্রিয়ায় আসিনি। আমার তো সেই শিক্ষা-দীক্ষা নেই। আমরা দেখি, অনেকেই অভিনেতা হয়ে যায়, কিছু না জেনে অনেকেই স্টার হয়ে যায়। আমি এই জায়গা থেকে একটু… আমি মনে করি, যেকোনো কাজ করতে গেলে তার প্রপার শিক্ষাটা লাগবে। আমার তো সেই শিক্ষাটা নাই, কিন্তু আমি শিখেছি, সেইটুকু দিয়ে মানুষ পছন্দ করে, গ্রহণ করে। সেই কারণে করা। এটা যতটা না আমার আগ্রহে করা, তার চেয়ে বেশি যারা আমাকে দিয়ে গান করায়, তাদের জন্য করা।’
তাহলে অনুরোধ রাখতে হলেও গানে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে? এমন প্রশ্নে বাবুর উত্তর, “গানে তো আমি আছি, ‘মনপুরা’র পর থেকে অনেকেই আমাকে দিয়ে গান করায়। সেটা আমার আগ্রহে না। কোনো পরিকল্পনা নেই। মিউজিক ডিরেক্টররা ফোন করে, যদি ভালো লাগে করি… যদি সময় থাকে।”
ফজলুর রহমান বাবু সবশেষ ‘চান্দে বসত কইরো কইন্যা’ শিরোনামে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এর সংগীতায়োজন করেছেন মিলটন খন্দকার। গানের কথা ও সুর করেছেন শিমুল সরকার।
খুলনা গেজেট/কেএম