রাজধানীর শাহবাগে আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধের দাবিতে চলছে অবস্থান কর্মসূচি। শুক্রবার (৯ মে) বিকালে শাহবাগ মোড় ব্লকেড করা হয়। ছাত্র-জনতা রাতেও সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
শুক্রবার (৯ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে সেখানে দেখানো হচ্ছে শেখ হাসিনার শাসনামলের গুম-খুন ও নির্যাতনের ভিডিওচিত্র। শাহবাগ মোড়ের পশ্চিম দিকে এলইডি স্ক্রিনে এ গুম-খুনের প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
এলইডি স্ক্রিনে কখনও ভেসে ওঠে বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি। কখনো দেখানো হয় শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে চালানো হত্যাযজ্ঞের চিত্র।
এদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার শাহবাগসহ সারা দেশে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ শুক্রবার রাতে শাহবাগে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সারা বাংলাদেশে যেসব স্থানগুলোতে গণজমায়েত হয়েছিল, সেখানে গণজমায়েতের কর্মসূচি পালন করবে।
তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি, ২৫ ঘণ্টা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। আমরা জানি না এ কর্মসূচির শেষ কোথায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করা হয়, কতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা তিন দফা দাবি দিয়েছি। তিন দফার মধ্যে প্রথম দফা হচ্ছে, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে, আওয়ামী লীগের যত সংগঠন সবগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্বিতীয় দফা দাবি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। তৃতীয়, জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।
শনিবারের কর্মসূচি নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ তিনি বলেন, তিন দফার দাবিটা আমাদের, অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি শনিবার বিকাল ৩টার দিকে শাহবাগে গণজমায়েত ঘোষণা করা হচ্ছে। তার সঙ্গে সারা বাংলাদেশ আমাদের প্রত্যেকটা জুলাইয়ে যে যে পয়েন্টে আন্দোলন হয়েছে, সেই পয়েন্টে আমরা গণজমায়েত ঘোষণা করছি। এই লড়াই বাংলাদেশপন্থি বনাম ফ্যাসিবাদপন্থি লড়াই।
খুলনা গেজেট/এমএনএস