শার্শা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৪৬০ কেজি ইলিশ মাছ উদ্ধার করেছে বিজিবি।এ সময় কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারিনি তারা।
সীমান্ত এলাকায় পুলিশের অভিযান না থাকায় চোরাচালান বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। বিজিবির মত পুলিশ যদি টহল ব্যবস্থা জোরদার করত তাহলে চোরাচালানী পন্য সহ পাচারকারী ও আটক হতো বলে তাদের অভিমত।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বিকালে ইলিশ মাছের চালানটি উদ্ধার করা হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে আগে থেকে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
খুলনা ২১ বিজিবির গোগা ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতে পাচারের সময় গোগা সীমান্ত এলাকা থেকে ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়।এ সময় পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।আটককৃত মাছ গুলো গোগা গ্রামের একটি এতিম খানায় দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গোগা এলাকার অনেকে জানিয়েছেন, চোরাকারবারিরা দীর্ঘদিন যাবত ভারত থেকে ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা ও রুপা নিয়ে আসছে।আর বাংলাদেশ থেকে সোনা, ডলার ও ইলিশ মাছ পাচার করছে। বিজিবি সদস্যরা মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছু কিছু চালান আটক করলেও পুলিশ রয়েছে নিরব ভুমিকায়।
তারা আরো জানান, গোগা সীমান্ত এলাকা বাগআঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির অধিনে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রুদ্রপুর বাজারের এক ডাক্তার জানান, বিজিবির অভিযান টের পাওয়া যায় কিন্তু ফাঁড়ির পুলিশ আসে চাঁদা তুলতে।মাদক ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে মাদকদ্রব্য এনে প্রথমে সীমান্তবর্তী গ্রাম গুলোতে জমা করে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাপ্লাই করে থাকে।
খুলনা গেজেট/এনএম