শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবারও আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদকে। শনিবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে থাইল্যান্ডে অবস্থানরত ছেলে সাদ এরশাদ এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদের অক্সিজেন সেচুরেশন কমে যাওয়াসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে গত ২৫ নভেম্বর তাকে কেবিন থেকে দ্বিতীয় দফায় আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার পর তাকে সরাসরি আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তারপর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কেবিনে নেওয়া হয়েছিল। অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও তাকে আইসিইউতে নিতে হয়েছে।
সাদ এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, অক্সিজেন সেচুরেশন কমে যাওয়ার কারণে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কফ জমে গিয়েছিল। উনার অবস্থা আসলে আগের মতোই আছে। খুব বেশি যে সিরিয়াস তা নয়। কিন্তু আইসিইউ মানেই তো ভয়ের ব্যাপার।
সাদ এরশাদ আরও জানান, চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিচ্ছে। আমি তো আর চিকিৎসক না। ফলে, চিকিৎসার সব কিছু আমার পক্ষে বোঝাও সম্ভব নয়।
জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও নানা রোগে ভুগছেন রওশন এরশাদ। এরমধ্যে তার বাম পায়ে ইনফেকশন দেখা দেয়। এছাড়া ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের শরীরে।
সাদ এরশাদ আরও বলেন, আম্মার পায়ে যে ইনফেকশন হয়েছিল, সেটা আস্তে আস্তে রিমুভ করা হচ্ছে। এগুলো পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে।
গত ৫ নভেম্বর বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রওশন এরশাদকে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে তার সঙ্গে আছেন ছেলে ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও পুত্রবধূ মাহিমা এরশাদ।
উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট রওশন এরশাদের ফুসফুসে জটিলতা দেখা দেয়। অক্সিজেন লেভেল কমতে শুরু করলে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেশ কিছুদিন তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কেবিনে নেওয়া হয়। হাসপাতালে থাকাকালে গত ২০ অক্টোবর আবারও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে দ্বিতীয় দফায় আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এর আগে, টানা ২৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৩ মে বাসায় ফেরেন রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ ৪ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি সংসদে গত দুই মেয়াদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই