বহিরাগত প্রবেশে নিষেধ করা নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেল ৫টা থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এবং প্রধান ফটক সংলগ্ন দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এতে আহত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নেন ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আশরাফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজন সহকারী প্রক্টর, শিক্ষার্থী এবং নিরাপত্তারক্ষীরাও।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বহিরাগত কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে বাধা দেন। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নিরাপত্তারক্ষীর গায়ে হাত তোলেন তারা। এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও তর্কে জড়ান তারা। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে রয়েছে। আমরা পরবর্তীতে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা করে এর সমাধান করবো।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মাসুদ রানা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এই বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে একপর্যায়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএম