আগে ব্যাট করে ১৯৩ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ১০ ওভারে ৭৩ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। শেষ ১০ ওভারে ১২০ রান প্রয়োজন, এ সময়ে চোখ বুঝে পাকিস্তানের পক্ষে বাজি ধরার কথা। অথচ সেই ম্যাচেই কিনা অবিশ্বাস্য জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
জিমি নিশামকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন মার্ক চ্যাপমান। তাদের ৫৮ বলে ১২১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৪ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় নিশ্চিত হয় কিউইদের।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটা নিউজিল্যান্ডের শততম জয়। আর চ্যাপম্যান-নিশামের এই জুটিটা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ। চ্যাপম্যানের ১০৪* আর নিশামের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে অপরাজিত থাকেন ৪৫ রানে।
এই ম্যাচ জিতলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হতো পাকিস্তানের। তবে স্বাগতিকদের সেই আশা ভাসিয়ে সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করে নিউজিল্যান্ড। আইপিএলের কারণে এই সিরিজে দ্বিতীয় সারির দল পাঠায় কিউইরা। তাদের সাথে এমন পারফরমেন্স আর সিরিজ জিততে না পারায় চটেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
এই ম্যাচে ১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে লং অনে চ্যাপম্যানের সহজ ক্যাচ ছাড়েন শাদাব খান।
৬৭ রানে অপরাজিত চ্যাপম্যান এরপর তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি।
ম্যাচ শেষে হারের পিছনে শাদাবের ওই ক্যাচ ফেলাকে দায়ী করেন বাবর। তিনি বলেন, শাদাব অতীতে অনেক ভালো পারফর্ম করেছে। তবে এই সিরিজে ভালো করতে পারেনি। শাদাবের ওই ক্যাচ হাতছাড়া করার মাশুল গুনতে হয়েছে।”
তিনি বলেন, একটা সিরিজে ভালো করতে না পারলেই ওকে আলাদা চোখে দেখার কারণ নেই। আমরা ওকে সমর্থন দিয়ে যাব। আশা করি, ও আবার ভালো করবে।
এর আগে সোমবার রাতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান তোলেন বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবর আউট হতেই ১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
ইফতিখার আহমেদের পর ইমাদ ওয়াসিমকে নিয়ে গড়েন বড় জুটি রিজওয়ান। মাত্র দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন পাক উইকেটকিপার । তার ৯৮ রান ছাড়াও ইফতিখারের ৩৬ ও ইমাদ ওয়াসিমের ৩১ রানের উপর ভর করে ১৯১ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
খুলনা গেজেট/এনএম