বাগেরহাটের শরণখোলায় করাতকল (স‘মিল) খুলে দেওয়ার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ক্ষতিগ্রস্থ মালিক ও শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাতের কাছে এই স্মারক লিপি প্রদান করেন শরণখোলা উপজেলা করাতকল মালিক-শ্রমিক কল্যান সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন নান্টু।
এসময়, শরণখোলা উপজেলা করাতকল মালিক-শ্রমিক কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান হাওলাদারসহ শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে করাতকল মালিক-শ্রমিক কল্যান সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন নান্টু বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে শরণখোলার সকল করাতকল বন্ধ রয়েছে। এরফলে, কাঠ চেরাই করতে না পেরে এলাকাবাসী যেমন চরম দুর্বেগে পড়েছে, তেমনি শতশত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় মানুষের দূর্ভোগ কমানো, মালিক ও শ্রমিকদের দূর্দশা লাঘবে অতিদ্রুত করাতকল খুলে দেওয়ার দাবি জানান তারা।’
বাংলাদেশে প্রচলিত বন আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকলসহ সব ধরণের মিল-কলকারখানা স্থাপন নিষিদ্ধ। এই আইন বাস্তবায়নের লক্ষে ১৭ আগস্ট সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এলাকায় মাইকিং করে সমস্ত করাতকল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। সেই থেকে শরণখোলা উপজেলার প্রায় অর্ধশত করাতকল মালিক তাদের মিল বন্ধ রাখেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই