(সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল শপথ নিয়েছেন। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
এর আগে শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। একই সঙ্গে চার কমিশনারকেও নিয়োগ দিয়ে শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
নিয়োগপ্রাপ্ত চার কমিশনার হলেন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ রাশিদা সুলতানা, ব্রি. জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এবং সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের লক্ষ্যে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে এর প্রধান করা হয়।
যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাছাই করতে গত ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করে সার্চ কমিটি। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু নাম প্রস্তাব করেন।
এছাড়া সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সবার কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক দল নাম পাঠায়। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেও নাম পাঠান। তবে বিএনপি এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি।
সার্চ কমিটির কাছে মোট ৩২২ জনের নাম জমা পড়ে। বএরপর তারা কয়েকটি বৈঠক করে ওই ৩২২ জন থেকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ১০ জনের এ তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। ওই ১০ জন থেকে ৫ জনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি।
খুলনা গেজেট।এএ