আর্জেন্টিনা ও চিলিতে শুক্রবার (২ মে) আঘাত হেনেছে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই চিলিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয়েছে ক্যাপ হর্ন ও অ্যান্টার্টিকার মধ্যবর্তী ড্রেক প্যাসেজে। মাটি থেকে কম্পনটির গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পের পরপর চিলির বিপর্যয় প্রতিরোধ সংস্থা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের মেগালেনেস অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার সব মানুষকে সরে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে। সংস্থাটি সতর্কতা দিয়ে বলেছে, সেখানে সুনামির ঢেউ আঘাত হানতে পারে।
সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, মেগানেলেসে সুনামির সতর্কতামূলক সাইরেন বাজছে। আর মানুষ খুব স্বাভাবিকভাবে সেখান থেকে সরে যাচ্ছেন।
সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পুয়ের্তো উইলিয়ামস শহরসহ কয়েকটি উপকূলীয় অঞ্চল থেকে শত শত মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি কেপ হর্ন ও অ্যান্টার্কটিকার মধ্যবর্তী ড্রেক প্রণালীতে, মাত্র ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরতায় আঘাত হানে।
চিলির বৃহত্তম ও দক্ষিণতম অঞ্চল ম্যাগেলানেস জনসংখ্যার দিক থেকে অপেক্ষাকৃত কম। ২০১৭ সালের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই অঞ্চলের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ ৬৬ হাজার জন।
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিচ বলেছেন, ভূমিকম্পে সাড়া দেওয়ার জন্য চিলি প্রস্তুত রয়েছে।
এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, আমরা ম্যাগেলানেস অঞ্চলের উপকূলজুড়ে সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের দায়িত্ব হলো প্রস্তুত থাকা এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে চলা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, লোকজন সাইরেন বাজার মধ্যে শান্তভাবে এলাকা ছাড়ছেন।
চিলির হাইড্রোগ্রাফিক ও ওশানোগ্রাফিক সার্ভিস (এসএইচওএ) জানিয়েছে, সৃষ্ট ঢেউগুলো অ্যান্টার্কটিকার ঘাঁটি এবং চিলির দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছাতে পারে।
এদিকে, বিশ্বের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত শহর হিসেবে পরিচিত আর্জেন্টিনার উশুয়াইয়া শহরে স্থানীয় প্রশাসন বীগল চ্যানেলে সব ধরনের জলযান চলাচল ও জলক্রীড়া তিন ঘণ্টার জন্য স্থগিত করেছে।
স্থানীয় সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, ভূমিকম্পটি প্রধানত উশুয়াইয়া শহরে এবং কিছুটা প্রদেশের অন্যান্য শহরে অনুভূত হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে শান্ত থাকা অত্যন্ত জরুরি।
খুলনা গেজেট/এমএনএস