লোহিত সাগরে হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণ প্রতিহতে ইসরায়েলি ও পশ্চিমাদের সশস্ত্র জাহাজ মোতায়েনের পর এবার সেখানে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ইরান। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে সোমবার (১ জানুয়ারি) জানায়, ইরানের আলবোর্জ যুদ্ধজাহাজ লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে।
তবে লোহিত সাগরে এ মিশনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি ইরান। ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা গোষ্ঠী হামাসের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে গত নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা।
গত ২ ডিসেম্বর ইরানের নৌবাহিনীর প্রধান শাহরাম ইরানির বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, লোহিত সাগরে মিশন পরিচালনা করছে আলবোর্জ। পরে ১৪ ডিসেম্বর ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি লোহিত সাগরের বিষয়ে বলেন, যেসব অঞ্চলে আমাদের আধিপত্য আছে সেসব অঞ্চলে অন্য কেউ অগ্রসর হতে পারবে না।
জানা যায়, যুদ্ধজাহাজ আলবোর্জ বাব এল-মান্দাব প্রণালী হয়ে লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে। তবে যুদ্ধজাহাজটি কখন লোহিত সাগরে ঢুকেছে সেবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরো এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।
যুদ্ধজাহাজটি ইরানের নৌবাহিনীর ৩৪তম নৌবহরের অংশ। ২০১৫ সাল পর্যন্ত এডেন উপসাগর, ভারত মহাসাগরের উত্তরে এবং বাব এল-মান্দাব প্রণালীতে টহল দিয়েছিল এই যুদ্ধজাহাজ।
এর আগে, গত শনিবার ও রোববার লোহিত সাগরে জাহাজ ও সামুদ্রিক পথে পণ্য পরিবহন খাতের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান মারেস্কের কন্টেনারবাহী জাহাজে হামলা চালায় হুতি বিদ্রোহীরা। ওই জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি ছোট নৌকায় চড়ে উঠে পড়ার চেষ্টা করে তারা। এই হামলার ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য লোহিত সাগরে তাদের আর কোনো জাহাজ চলাচল করবে না বলে ঘোষণা দেয়।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ পণ্যসামগ্রী পরিবহন করা হয় সুয়েজ খালের মাধ্যমে। হুতিদের এই হামলায় বিশ্বের অনেক বড় বড় শিপিং কোম্পানি সুয়েজ খাল দিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপের আশপাশের দীর্ঘ এবং অত্যধিক ব্যয়বহুল রুটে জাহাজ পরিচালনা করছে।
খুলনা গেজেট/কেডি