নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ফকির মিরাজুল ইসলাম (৬০) নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। হামলায় তার ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় আরো ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১ টার দিকে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের সারুলিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
কবজি হারানো ফকির মিরাজুল ইসলাম লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। এছাড়াও তিনি লোহাগড়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সাবেক পরিচালক ছিলেন।
অপর আহত দুজন হলেন, মিরাজুল ফকিরের ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ইমরান ফকির (৪৭) এবং ওই গ্রামের বাবুল শরিফ (৩৪)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধ এবং আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে কাশীপুর ইউনিয়নের এড়েন্দা হাটে ফকির মিরাজুল ইসলাম সমর্থিত লোকজনদের সাথে প্রতিপক্ষ রওশন কাজী সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বিবাদমান দুটি পক্ষ হাট থেকে গ্রামে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় সারুলিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে মিরাজুল ইসলাম ফকির, তার ভাই ইমরান ফকির এবং একই গ্রামের বাবুল শরিফ বসে ছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের বাড়িতে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ধারালো অস্ত্রের কোপে মিরাজুল ইসলাম ফকিরের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া সাথে থাকা ইমরান ফকির ও বাবুল শরীফকেও কুপিয়ে যখম করে দুর্বৃত্তরা পালিয়া যায়। পরে আহতদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশিকুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে