দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম মোর্তজা রশিদী দারা অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচনে এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। আমি চায় নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনার যে কমিটমেন্ট করেছেন, প্রশাসনের অন্যান্য যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট (সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনছার) আছেন তাদের কাছে দাবি আপনারা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দিবেন এবং এটা আপনারা ইচ্ছা করলে পারেন।
তিনি বলেন, আইন সবার জন্য সমান। কে সরকারি দল? কে বিরোধী দল? কার টাকা আছে? কে মাস্তান? এগুলো দেখবেন না। আইন সবার জন্য সমান। একজন সংখ্যালঘুর যে অধিকার, একজন ধনী লোকের এবং আমার সমান অধিকার। আমরা সবাই দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতি সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, টাকার জোরে প্রশাসনের কিছু (২/১জন ) আমি সেটা ওপেন বলবো না। এক থানার ১ জন ওসি খারাপ আচরণ করতেছে। সেটা আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে বলতে চাই আপনি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন এবং সংশোধন হয়ে যান।
তিনি বলেন, আমি যেহেতু খুলনায় থাকি, মানুষকে সময় দিতে পারবো, আমার ব্যবসা কোন মানুষের মতো ওতো বড় না যে আমার ব্যবসায় সময় দিতে হবে। এই জন্য মানুষ আমাকে ভোট দিবে।
বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শিদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তিনি গত ৬ সাড়ে ৬ বছরে এলাকার জনগণকে সময় দিতে পারেন নাই, কোন সেবা দিতে পারেন নাই, এলাকায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয় নাই, রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা, অবকাঠামগতভাবে কোন উন্নয়ন হয়নি। উনি উনার নিজের ব্যবসা নিয়ে পড়েছিলেন। উনি এলাকার উন্নয়নের দিকে তাকাতে পারেননি। এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি। অন্য এলাকায় যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে সেই পরিমাণ উন্নয়নের কথা পাকিস্তানের সংসদেও আলোচনা করেছে। সেই উন্নতি বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকায় দৃশ্যমান। অথচ আমাদের রুপসা, তেরখাদা দিঘলিয়ায় সেটা দৃশ্যমান না।
তিনি বলেন, আমি শুধু নৌকার প্রার্থীকে প্রতিপক্ষ মনে করছি না। বাকি যারা ১১ জন প্রার্থী আছেন সবাইকে প্রতিপক্ষ মনে করছি। কারণ তারা সকলেই আমার মতো স্থানীয় অধিবাসী, সকলকে জনগণ পাবে।
তিনি বলেন, আমি যখন ছাত্র রাজনীতি করেছি সবার সঙ্গে মিলেমিশে রাজনীতি করেছি। আমি রুপসা, তেরখাদা দিঘলিয়ায় ছাত্রলীগের নাম পত্তন করেছি। ১৯৮৩ সালে দৌলতপুর থানা ভেঙ্গে দিঘলিয়া থানা হয়েছে। তখন ওই থানায় আমি ছাত্রলীগের নাম পত্তন করেছি।১৯৮৬ সালে খুলনা সদর থানা ভেঙ্গে রূপসা থানা হয়েছে। ওই থানায় আমি তখন ছাত্রলীগের নাম পত্তন করেছি। অন্যান্য প্রার্থীদের মতো বিজয়ের ব্যাপারে আমিও আশাবাদী। বাকীটা আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহ যা লিখে রাখছেন কপালে সেটা সহজ ভাবে মেনে নিবো।
খুলনা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমার নির্যাতিত লোকদের ব্যাপারে তাদের কাছে অভিযোগ দেওয়ার সাথে সাথে মাননীয় জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার মহোদয় ইউএনও এবং ওসিকে দিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম