লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ৪ হাজারের বেশি মানুষ। এ ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, রিপন, মেহেদি ও মিজান। তারা পেশায় শ্রমিক। এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নৌবাহিনীর ২১ সদস্য আহত হয়েছেন, তারা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস বিজয়ে অবস্থান করছিলেন। বিস্ফোরণে জাহাজটিও সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মিজানের বাড়ি শরীয়তপুর এবং মেহেদীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করছে দূতাবাস। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) রাতে জোড়া বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে।
এদিকে আন্ত:বাহিনী যোগাযোগ জনসংযোগ পরিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে বৈরুত বন্দরের কাছে হওয়া বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অন্তত ২১ জন সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত নৌবাহিনীর সদস্যদের বৈরুতের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ।
বৈরুতে থাকা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিশাল বিস্ফোরণে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ৪ হাজারের বেশি মানুষ।
লেবাননের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান বলেছেন অত্যন্ত বিস্ফোরক রাসয়নিক পদার্থের গুদামে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিস্ফোরণ দুর্ঘটনা। পরিকল্পিতভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। তারা বলছেন গুদামে ছয় বছর ধরে মজুত রাখা অত্যন্ত বিপদজনক বিস্ফোরক থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব এই ঘটনাকে বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন।
প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন এক টু্ইট বার্তায় বলেছেন কোন গুদামে ২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মত বিস্ফোরক অনিরাপদভাবে মজুত রাখার বিষয়টি “অগ্রহণযোগ্য”।
বুধবার মন্ত্রিসভার বিশেষ একটি বৈঠক ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট আউন।
বুধবার থেকে তিনদিনের জন্য লেবাননে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক পালন করা হবে।
উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে ভুক্তভোগীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, তা নিশ্চিতভাবে জানার উদ্দেশ্যে তদন্ত চলছে।
খুলনা গেজেট / এমএম