দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। তাই ঠান্ডা নিবারণে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে মানুষেরা। খুলনার তেরখাদা উপজেলায় লেপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা।
দোকানগুলোতে দেখা যায়, মালিক-শ্রমিক লেপ-তোষক সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর শীতের শুরুতেই ক্রেতারা দোকানে পছন্দমতো লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। প্রতিটি ৪-৫ হাত লেপ ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, তোষক ১২০০ থেকে ১৫০০ এবং জাজিম ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত খুচরা বিক্রি করা হয় বলে জানান দোকানিরা।
তারা আরও বলেন, বর্তমানে প্রতি কেজি কালো ব্লেজার তুলার দাম ৩৫-৪০ টাকা, কালারিং তুলা ৪০-৫০ টাকা, শিমুল তুলা ৩০০-৪০০ টাকা, সাদা তুলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও কাপাশ তুলা ২০০-২৫০ টাকা করে বিক্রি হয়।উপজেলার জয়সেনা বাজারের চান্দিনায় লেপ-তোষক তৈরি করতে আসা অনেকেই বলেন, ঠান্ডা আসছে, তাই পুরাতন লেপের কাপড় বদলিয়ে নিচ্ছি।
উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা, জয়সেনা ও তেরখাদা বাজারে লেপ-তোষক তৈরির বেশ কয়েকজন কারিগর জানান, শীত শুরু হতে না হতেই কর্মব্যস্ততা বেড়ে গেছে। তারা ৪-৫ হাতের একটি লেপ তৈরির শ্রমিকেরা মজুরি পান ২৫০ টাকা, ৫-৬ হাত লেপের মুজুরি ৩৫০ টাকা, তোষকের মজুরি দেয় ২৫০-৩০০ টাকা। সারাদিনে ৬-৭টি লেপ তৈরি করতে পারি। লেপ তোষক তৈরি করে যে মজুরি পান তা দিয়ে ছেলে মেয়ে পড়াশোনাসহ সংসারের অন্যান্য খরচ চালান। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে বলেও জানান কারিগরেরা।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হতদরিদ্র মানুষের গায়েই সবার আগে কামড় বসায় শীত। তাই আগে ভাগে তারা শীতবস্ত্র কিনতে চলে এসেছেন। উপজেলা সদরের তিনটি বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে লেপ-তোষক সেলাইয়ের কাজ চলছে দিনভর।
খুলনা গেজেট/এনএম