কুষ্টিয়ায় টেন্ডার বিরোধের জের ধরে লিটন বিশ্বাস নামে এক যুবককে গলাকেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া এ মামলার আরও ২১ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ইছাহাক মাস্টারের ছেলে আলী রেজা সিদ্দিক বুলবুল ওরফে বড় কালু, একই উপজেলার মৃত্তিকাপাড়া এলাকার এছেম আলীর ছেলে মনোয়ার ওরফে মনো এবং মাইজপাড়া এলাকার জলিলের ছেলে লিয়াকত। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৭ জুন বিকালে বাড়ি থেকে বের হয় লিটন। সেদিন রাতে সে বাড়ি ফিরে আসেনি। নিখোঁজের পরের দিন ২৮ জুন সকালের দিকে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পূর্বে পাশে লিটনের দেহবিহীন রক্তাক্ত মাথা উদ্ধার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডার বিরোধের জেরে লিটনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ওই দিন নিহতের বাবা ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামের মৃত চেতন আলী বিশ্বাসের ছেলে আজিবর বিশ্বাস বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ইবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অনুপ কুমার নন্দী রায়। তিনি ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।