খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

লবণাক্ত জমিতে বিনাচাষে সূর্যমুখী ও গম চাষ এবং সার ব্যবস্থাপনার উপর মাঠ দিবস

খু‌বি প্রতি‌নি‌ধি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের গবেষকবৃন্দ খুলনার দাকোপে লবণাক্ত জমিতে বিনাচাষে সূর্যমুখী ও গম ফসলের চাষাবাদ এবং সার ব্যবস্থাপনার উপর একটি গবেষণা পরিচালিত করছেন। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচার রিসার্চ এর আর্থিক সহযোগিতায় এই গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দাকোপ উপজেলার পানখালীতে এই গবেষণা প্রকল্পের প্রদর্শনী প্লটে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন আয়োজিত এ মাঠ দিবসে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আলোচনা করেন খুুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুবির এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও চারুকলা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম, খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোর্তজা নজরুল। স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ এনামুল কবির। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন দাকোপ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ, কৃষক সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, কৃষাণী গীতা বালা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের সহ-গবেষক এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক বিধান চন্দ্র সরকার।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, খুলনা অঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষকদের ধান চাষের পর যে সময়টা পাওয়া যায় সেটা কাজে লাগিয়ে বিনাচাষে সূর্যমুখী ও গম ফসল চাষাবাদ করা যাবে। পরিমিত পরিমাণে ইউরিয়া সার ব্যবহার করেই ধান তোলার পর দ্বিতীয় ফসলের চাষাবাদ করা সম্ভব। আগস্টের মাঝামাঝি ধান রোপণ করলে দ্বিতীয় ফসল চাষে সুবিধা পাওয়া পাবে। এর ফলে কৃষকরা অতিরিক্ত ফসল পাবেন। তাদের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে তা উপকারে আসবে। কর্মসংস্থান হবে, খাদ্য উৎপাদন বাড়বে এবং ভোজ্যতেল পাওয়া যাবে।
বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য উপকূলীয় লবণাক্ত একফসলী এলাকায় অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এই চাহিদা মেটাতে খুলনা অঞ্চলের ফাঁকা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে দেশকে ভোজ্যতেলে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে দেওয়া সম্ভব।

এর আগে গবেষক ও অতিথিবৃন্দ বিনাচাষে সূর্যমুখী ও গম চাষাবাদের প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!