ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় লঞ্চের মালিকসহ আট জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া লঞ্চের ফিটনেস সনদ, নিবন্ধন ও মাস্টার-ড্রাইভারদের সনদও স্থগিত করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার নৌ পরিবহন আদালতের বিচারক (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জয়নাব বেগম এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
নৌ পরিবহন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা (প্রসিকিউটিং অফিসার) বেল্লাল হোসাইন জানান, দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন আসার পর পরিদর্শক শফিকুর রহমান মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে অবস্থিত আদালতে এই মামলা করেন। আসামিরা হলেন- লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ, মাস্টার ইনচার্জ মো. রিয়াজ শিকদার, ড্রাইভার ইনচার্জ মো. মাসুম বিল্লাহ, মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও ড্রাইভার আবুল কালাম, মো. শামীম আহাম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ, ফেরদৌস হাসান রাব্বি।
ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে গত বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে। ইঞ্জিনরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। পরে পুরো লঞ্চে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু ও দগ্ধ হয়েছেন অনেকে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন বহু।
খুলনা গেজেট/ এস আই