গল টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাট-বলে দারুণ লড়াই করল শ্রীলংকা। তবু পরাজয় এড়াতে পারল না। ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে ইংলিশদের কাছে মাথা নোয়াতে হলো লংকানদের। বছরের শুরুতে প্রথম টেস্টে বড় জয় পেল ইংল্যান্ড। তবে এ পরাজয়েও লংকান শিবিরে সান্ত্বনা একটিই– ইনিংস পরাজয় এড়ানো গেছে।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৫ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করে ৩৫৯ রান করে শ্রীলংকা। এতে লজ্জার হার থেকে রক্ষা হয়। এর পুরো কৃতিত্ব ওপেনার থিরিমান্নের। তার সেঞ্চুরিতে ইনিংস পরাজয়ের তেতো স্বাদ নিতে হয়নি।
আগের দিন ২ উইকেটে ১৫৬ রানে দিন শুরু করে লাহিরু থিরিমান্নে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। থিরিমান্নের ১১১ ও ম্যাথিউসের ৭১ রানের লড়াকু দুই ইনিংসে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ান স্বাগতিকরা। তবে ইংলিশ বোলার জ্যাক লিচের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বেশি দূর যেতে পারেনি শ্রীলংকা। মাত্র ৭৪ রানের লিড দিতে পারেন তারা। যে কারণে জয় নিশ্চিত নিয়েই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ইংল্যান্ড। কিন্তু এ সামান্য লিড পার করতেই বড় ধাক্কা লাগে ইংল্যান্ড শিবিরে।
মাত্র ১৪ রানেই ডম সিবলি, জ্যাক ক্রাওলি ও জো রুটের উইকেট হারায় সফরকারীরা। তবে চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৬২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করেছেন জো বেয়ারস্টো ও ড্যান লরেন্স। বেয়ারস্টো ৩৫ ও লরেন্স ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করার সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন অধিনায়ক জো রুট। ৩২১ বল মোকাবেলা করে ২২৮ রান করেছিলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : শ্রীলংকা প্রথম ইনিংস ১৩৫। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ৪২১।
শ্রীলংকা দ্বিতীয় ইনিংস ৩৫৯ (কুশাল পেরেরা ৬২, লাহিরু থিরিমান্নে ১১১, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ৭১, দিনেশ চান্দিমাল ২০, নিরোশান ডিকভেলা ২৯, দিলরুয়ান পেরেরা ২৪। স্যাম কারেন ২/৩৭, ডম বেস ৩/১০০, জ্যাক লিচ ৫/১২২)।
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস ৭৬/৩ (জনি বেয়ারস্টো ৩৫*, ড্যানিয়েল লরেন্স ২৫*। লাসিথ এম্বুলদেনিয়া ২/২৯)।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন