প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত। দ্বিতীয় ম্যাচটি হলো বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। শেষটায় রোমাঞ্চের জয় পাকিস্তানের। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শনিবার স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
প্রভিডেন্সে আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৪ উইকেটে ১৫০ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বল হাতে দুর্দান্ত করা পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ জিতে নেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৪ ওভারে তিনি দেন মাত্র ৬ রান, পান এক উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শূন্য রানে আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। এরপর অল্প রানে ফেরেন ক্রিস গেইল। এভিন লুইস ভালো খেলতে খেলতে চোট পেয়ে যান স্বেচ্ছা অবসরে। ৩৩ বলে ৩৫ রান করেন তিনি।
মিডল অর্ডারে শিমরন হেটমায়ার (১৭) জ্বলে না ওঠায় দায়িত্বটা কাধে নেন নিকোলাস পুরান। তার সঙ্গে ছিলেন কাইরন পোলার্ড। দারুণ একটা সম্ভাবনা ছিল জয়ের। পোলার্ড ১৩ রানে বিদায় নিলে বাকি কাজটা করতে পারেননি পুরান। ৩৩ বলে তিনি থাকেন ৬২ রানে অপরাজিত। চারটি চারের পাশাপাশি তিনি হাকান ছয়টি ছক্কা।
বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে চমক দেখান মোহাম্মদ হাফিজ। ৪ ওভারে এক মেডেনে ছয় রানে তিনি নেন এক উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে তিনি বলেন, ‘বোলার হিসেবে এটি আমার প্রথম ম্যাচ সেরার পুরস্কার। স্পিনারদের মোকাবেলা করাটা বেশ কষ্টসাধ্য ছিল ব্যাটসম্যানদের। শাদাব ও আফ্রিদি দারুণ বোলিং করেছে।’
এর আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক বাবর আজম। ৪৬ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। শারজিল ২০ ও ফকর জামান ১৫ রান করেন। বাকি পাচ ব্যাটসম্যান ছুতে পারেনি দুই অঙ্কের রান। বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৬ রানে চারটি উইকেট নেন জেসন হোল্ডার।
খুলনা গেজেট/কেএম