অকল্যান্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিটি যেন বিনোদনের সব পসরা সাজিয়ে বসেছিল। এমনিতেই ছোট ফরমেটের ম্যাচ, বৃষ্টির কারণে ওভার কমে হয়ে গেল ১৬টি। তাতেই হিংস্র হয়ে ওঠলেন দুই দলের ব্যাটসম্যানরা, চার-ছক্কায় মাঠ গরম হলো। দুই দল মিলিয়ে ছক্কা মেরেছে ২৩টি। যার মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১২ ছক্কার ৮টিই কাইরন পোলার্ডের। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা ছক্কা হাঁকান ১১টি।
এমন উত্তেজনাকর এক লড়াইয়ে ছক্কা কম হাঁকিয়েও শেষ হাসি হেসেছে নিউজিল্যান্ড। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে ৫ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে।
অথচ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সূচনাটা ভালোই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০ বলে বিনা উইকেটেই তারা তুলে ফেলেছিল ৫৮ রান। এরপর টিম সাউদি আর লুকি ফার্গুসনের তোপ। আর ১ রান যোগ করতেই ৫টি উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিনা উইকেটে ৫৮ থেকে ৫ উইকেটে পরিণত হয় ৫৯ রানে।
সেই বিপর্যয় থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন কাইরন পোলার্ড। ফ্যাবিয়েন অ্যালেনকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৮৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। অ্যালেন ২৬ বলে ৩০ করে ফিরলেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন বিধ্বংসী পোলার্ড। ৩৭ বলে ৭৫ রানের হার না মানা ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা হাঁকান এই অলরাউন্ডার।
এছাড়া দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়া ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ১৪ বলে করেন ৩৪ রান। সবমিলিয়ে ১৬ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৮০ রানের পাহাড় গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন লুকি ফার্গুসন। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় ৫টি উইকেট নেন তিনি। ২টি উইকেট পান টিম সাউদি।
ডাকওয়ার্থ লুইসে ১৬ ওভারে নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ১৭৬ রানের। ব্যাটিংয়ে নেমে অনেকটা ক্যারিবীয়দের মতো দশা হয়েছিল তাদেরও। ৬৩ রান তুলতেই শীর্ষ ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
সেখান থেকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। ডেভন কনওয়ে আর জিমি নিশাম পঞ্চম উইকেটে তুলেন মূল্যবান ৭৭ রান। কনওয়ে ২৯ বলে ৪১ রান করে ফিরলে বাকি কাজটা মিচেল স্যান্টনারকে নিয়েই সেরেছেন নিশাম।
২৪ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন নিশাম। মারকুটে ব্যাটিং করেছেন স্যান্টনারও। ১৮ বলে ৩ ছক্কায় তিনি খেলেছেন হার না মানা ৩১ রানের ইনিংস।
খুলনা গেজেট/এএমআর