এক সময় মনে হচ্ছিল হেরেই যাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু শেষের দিকে টেল অ্যান্ডারদের দক্ষতায় শেষ হাসি বাবর আজমদের। শুক্রবার চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। ওয়ানডের পর ৩-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতল বাবর বিগ্রেড।
সেঞ্চুরিয়নে আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ বল বাকি থাকতে অল আউট হয় ১৪৪ রানে। জবাবে মাঝ পথে খেই হারিয়ে ফেললেও নওয়াজের দারুণ ছক্কায় ম্যাচ জেতে পাকিস্তান, এক বল হাতে রেখে, ১৪৯/৭।
জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে পাকিস্তান হারায় প্রথম উইকেট। ফরটুইনের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার রিজওয়ান। এরপর বাবর আজম ও ফকর জামানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। দলীয় ৯২ রানের মাথায় বিপজ্জনক এই জুটি ভাঙেন উইলিয়ামস। ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রান করে সাজঘরে ফেরেন ফকর জামান। পাঁচটি চারের পাশাপাশি চারটি ছক্কা হাঁকান ফকর।
এরপর টিকতে পারেননি আগের ম্যাচের দারুণ সেঞ্চুরিয়ান পাক অধিনায়ক বাবর আজম। ২৩ বলে ২৪ রান করে ফেরেন তিনি উইলিয়ামসের বলেই। নির্ভরযোগ্য দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর মোড়ক লাগে পাকিস্তানের ইনিংসে। ১১৫ রানের মধ্যে দলটি হারায় ৬ উইকেট।
যার উপর বেশি ভরসা ছিল সেই মোহাম্মদ হাফিজ ১২ বলে করেন ১০ রান। হায়দার আলী ও আসিফ আলী ছুতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। মাগালা ও উইলিয়ামসনের বোলিংয়ে শেষের দিকে জয়ের পাল্লা ভারি হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। সপ্তম উইকেট জুটিতে ফাহিম ও নওয়াজ দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। ১১ বলে সাত রান করে ফাহিম মাগালার শিকার।
দুর্দান্ত বল করা মাগালা ১৯তম ওভারে দেন দুটি নো বল, এর মধ্যে একটিতে হয় ছক্কা। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ রান। পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে দারুণ জয় উপহার দেন মোহাম্মদ নওয়াজ। ২১ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন নওয়াজ। ৫ বলে ২ রান করে নওয়াজের যোগ্য সঙ্গ দেন হাসান আলী।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যতিক্রম ছিলেন ভ্যান ডার ডসন ও ওপেনার মালান। এই দুজনের ইনিংসে ভর করেই মূলত সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে স্বাগতিকরা। ৩৬ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কা ৫২ রান করেন ডসন। ২৮ বলে ৩৩ রান করেন ওপেনার জানেমান মালান। তিনি হাঁকান তিন চার ও একটি ছক্কা।
৫ বলে ১১ রান করেন আরেক ওপেনার এইডেন মারক্রাম। এরপর আর দক্ষিণ আফ্রিকার কেউ দাঁড়াতে পারেনি ফাহিম-হ্যারিসদের বোলিং তোপে। ১৯.৩ ওভারে দলটি অল আউট হয় ১৪৪ রানে। অধিনায়ক ক্লাসেনসহ বাকি সাত ব্যাটসম্যান ছুতে পারেননি দুই অঙ্কের রান।
৪ ওভারে ১৭ রানে তিন উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ। হাসান আলীও নেন তিন উইকেট। তবে ৪ ওভারে তিন দেন ৪০ রান। ৩.৩ ওভারে ১৮ রানে দুটি উইকেট নেন হ্যারিস রউফ। পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ভালো বোলিং করেন। চার ওভারে দেন ১৯ রান, পান এক উইকেট।
সিরিজ সেরা বাবর আজম, ম্যাচ সেরা ফাহিম আশরাফ।
খুলনা গেজেট/কেএম