করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের সব দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত শারীরিক উপস্থিতির পাশাপাশি ভার্চুয়াল পদ্ধতিতেও পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। রোববার থেকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালত এই উভয় পদ্ধতিতে চলবে।
শনিবার প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘করোনা সংক্রমণজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের বিচারক দেওয়ানি ও ফৌজদারি মোকদ্দমা/মামলায় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতিতে অথবা ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০’ এবং এই কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত এতদসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সব ধরনের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’ এক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতিতে সব ধরনের মামলা দায়ের করা যাবে এবং বিচারক শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিরা অধস্তন ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এছাড়া ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা নেই বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে করোনা পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজও ভার্চুয়ালি শুরু করা হয়।
২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইন সংশোধন করে ওই বছরের ১১ মে থেকে উচ্চ আদালত ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে পরিচালনা করা হয়। পরে অধস্তন আদালতেও শুরু করা হয় ভার্চুয়ালি বিচারকাজ। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে উচ্চ আদালত এবং একই বছরের ১১ আগস্ট থেকে অধস্তন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম শারীরিক উপস্থিতিতে অথাৎ স্বাভাবিক বিচারকাজ চালু করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বর্তমানে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ফের উচ্চ ও অধস্তন আদালত ভার্চুয়ালি পরিচালনার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএ